বাংলার ভোর প্রতিবেদক
কোটা আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যাকাণ্ডে মদদদাতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার যশোরের শার্শার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক ও শার্শার সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
প্রথমে তিনি নাভারণ সাতক্ষীরা মোড়ে বিএনপি ও যুবদল আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন। এরপর উলাশী বাজারে উলাশী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন। সেখানে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার আহ্বান জানান। এরপর তিনি যান বাগআঁচড়া বাজারে। সেখানে কায়বা ও বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপি-যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন।
মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গত ১৫ বছর লুটপাট-দুর্নীতি করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তারা এখন কেউ দাঁড়ি সেভ করে পালাচ্ছে। কেউ রয়েছেন আত্মগোপনে। আওয়ামী লীগের খুনি, লটেরারা যেন শার্শা সীমান্ত দিয়ে কেউ ভারতে পালাতে না পারে সেজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।
মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের কথায় চলতো না। তারা ভারতের ‘র’ কথা মতো চলে। ভারতের তাবেদারি করে। তারা জোর করে বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ মাইর, দুনিয়ার বাইর। তাদের করুণভাবে বিদায় নিতে হয়েছে। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় নিতে হয়েছে মোদির কাছে। তিনি হয়তো ভাবছেন আওয়ামী লীগের কিছু লোক রাস্তায় নামিয়ে আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসবেন। কিন্তু তারা আর ৫শ’ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না। শেখ হাসিনার নামে ইতোমধ্যেই কেস ফাইল হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার দায়ে তার বিচার হবে। শুধু তাই নয়, পিলখানায় সেনা অফিসারদের হত্যার বিচার করতে হবে। আমরা তার ফাঁসি চাই।
বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিঠুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম, আলমগীর কবির, কামরুজ্জামান মুন্না, মশিয়ার রহমান, তাজ উদ্দিন আহম্মেদ, হাসানুজ্জামান, শার্শা উপজেলার সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রাকিবুল হাসান রিপন প্রমুখ।