শ্যামনগর সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভবানীপুর ও সৈয়দালীপুর এলাকায় সাবেক যুবলীগ সভাপতি সাইফুল্লাহ ও তার সহযোগী আবুল কাশেম ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রভাব খাটিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষের প্রায় ৯০ বিঘা আয়তনের চিংড়ি ঘের জবর দখলের পায়তারা করছে তারা। বিগত দিনে জমি মালিকদের নানাভাবে হয়রানির পর এখন তারা জাল কাগজপত্র করে ওই জমি দখলে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে বার বার মহড়া দিয়ে এলাকায় আতংকজনক পরিবেশের সৃষ্টি করছে।
এলাকাবাবাসীর অভিযোগ বিগত আ.লীগ সরকারের সময় শীর্ষ নেতাদের আশির্বাদ থাকার পাশাপাশি নিজেরা যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় ধরাকে সরাজ্ঞান করে এ মানিকজোড়। তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে ডজন খানেক মামলা থাকলেও বর্তমানে স্থানীয় বিএনপির একটি গ্রপের ঘাঁড়ে ভর করে সাইফুল্লাহ-কাশেম মানিক জোড় আবার নিজেদের পুরানো অপকর্ম পুরোদমে চালিয়ে যেতে তৎপরতা শুরু করেছে।
স্থানীয় জমি মালিক আলমগীর হোসেন জানান উচ্চ আদালতের রায় নিজেদের পক্ষে থাকার পর সাইফুল্লাহ-কাশেম গং ঐ ৯০ বিঘা ঐ জমি জবর দখলের ষড়যন্ত্র করছে।
এমতাবস্থায় প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করা চিংড়িঘেরের দখল হাতছাড়া হওয়ার শংকার মধ্যে তারা দিনতিপাত করছেন বলে দাবি করেন অপর মালিক আতাউর রহামন।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন আবুল কাশেম এলাকার চিহ্নিত মামলাবাঁজ। এলাকার নিরীহ মানুষকে শরীকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলার জন্য প্ররোচিত করে নিজে সেই মামলা তদারকির দায়িত্ব নিয়ে ফায়দা লোটে।’
আরজু শাহরিয়ার, মনিরুজ্জামান বাবু, মাসুদসহ স্থানীয়রা জানান মামলাবাজ আবুল কাশেম ও সন্ত্রাসী সাইফুল্লাহ শান্তিপূর্ণ সৈয়দালীপুর এলাকায় ইতিপূর্বে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গোটা জনপদকে সন্ত্রন্থ এলাকায় পরিণত করে। তারা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সাইফুল্লাহ ও আবুল কাশেমকে অতিসত্বর আইনের আওতায় এনে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীসহ পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
তবে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল্লাহ দাবি করেন যুবলীগের রাজনীতি করলেও কারও ক্ষতি করিনি। ভূমিহীনরা তার সহায়তা চাওয়ায় খাসখতিয়ানভুক্ত জমিগুলো তাদের দখলে দেয়ার ক্ষেত্রে কাশেমের মাধ্যমে কমবেশি ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। আবুল কাশেম অনেককে মিথ্যা মামলায় দিয়ে দালালি করে কোটি টাকার মালিক হয়েছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি ভারপ্রাপ্ত ফকির তাইজুর রহমান বলেন কেউ শান্তিপূর্ণ চিংড়িঘের জবর দখলের চেষ্টা করলে আইনের আওতায় আনা হবে।