বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে চলমান মধুমেলায় ব্যঞ্জন থিয়েটার যশোরের পরিবেশিত ‘আদাব’ নাটকটি দর্শকদের মন জয় করেছে। সোমবার বিকেলে মেলার চতুর্থ দিনে মধু মঞ্চে নাটকটি প্রদর্শীত হয়। মান্নান হিরা রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শাহিন ইসলাম বিশাল। নাটকটিতে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন শেখের অভিনয় বিশেষভাবে দর্শকদের নজর কেড়েছে।
নাটকে মিলন শেখ একজন কাগজের হকারের চরিত্রে অভিনয় করেন। নাটকের এক দৃশ্যে, তিনি একজন রাস্তার ঝাড়ুদারের (মেথর) সাথে কথোপকথনে সমাজের শ্রেণি বৈষম্য তুলে ধরেন। তাঁর সংলাপ, ‘ধূর ব্যাটা রাস্তা ছাড়, কাগজ আনতে যাবো, তারপর সে কাগজ সাহেবদেরকে বিলি করবো, সাহেবরা সে কাগজ পড়ে তবেই অফিসে যাবে, ভদ্রলোকের চাকরি তো করিস না, তা বুঝবি কি একটু দেরি হলেই আমার চাকরি নট থাকো সালা উপস’, দর্শকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই সংলাপটি একদিকে যেমন হকারের দৈনন্দিন জীবনের কষ্ট ও উদ্বেগকে ফুটিয়ে তোলে, তেমনই সমাজের উঁচু স্তরের মানুষদের উপর তাদের নির্ভরশীলতাও প্রকাশ করে।
নাটক শেষে মিলন শেখের সাথে কথা বললে তিনি সমাজের সকল স্তরের মানুষের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘মানুষ সবাই সমান, হকারও একজন মানুষ, মেথরও একজন মানুষ। প্রত্যেকটা মানুষকেই সম্মান করতে হবে।’ তাঁর এই বক্তব্য নাটকের মূল সুরের সাথে একাত্ম হয়ে দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
‘আদাব’ নাটকটি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও মর্যাদার বার্তা বহন করে। মিলন শেখের সাবলীল অভিনয় এবং তার দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য নাটকটিকে আরও বেশি অর্থবহ করে তুলেছে।