বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের মনিরামপুরে হাসিয়া খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার চাঁকলা কাঁঠালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বায়জিদ বোস্তামি মনিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিহতের পরিবারের বরাতে জানা গেছে, চার বছর আগে চাঁকলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বিয়ে হয় হাসিয়ার। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন তিনি। একাধিকবার যৌতুকের অর্থ ও জিনিসপত্র দেওয়া হলেও নির্যাতনের মাত্রা কমেনি।
পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শ্বশুর-শাশুড়ি বাড়িতে না থাকার সুযোগে হাসিয়াকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। পরে ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তার স্বামী রাজ্জাক। ঘটনার পরপরই রাজ্জাক নিহতের পরিবারকে ডেকে এনে আত্মহত্যার কথা জানিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। নিহত হাসিয়া খাতুনের দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে নিহতের পিতা বায়জিদ বোস্তামি বলেন, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এখন ওরা এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে।