বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্টিত হয়েছে। রোববার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ অমিত্রাক্ষরে এই আলোচনা সভা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত যশোরের সম্পদ। এই মৃত্যুদিবস পালনে তার কোনো লাভ বা ক্ষতি নেই। তিনি বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন। সাহিত্যের প্রতি সব মানুষের অনুরাগ থাকে। মানুষ মহাকবিকে যুগের পর যুগ স্মরণ করে যাবে। প্রথম বারের মত আমরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছি। আগামিতে এই ধারা অব্যহত রাখার চেষ্টা করা হবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন যশোর সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর সরকারি সিটি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দকার কামরুল ইসলাম এবং সাহিত্যিক ও গবেষক কাজী শওকত শাহী।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) খান মাসুম বিল্লাহ। আলোচনা সভায় মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্যকর্ম ও বাংলা সাহিত্যে তার অবদান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তিন গ্রুপের ৯ জনের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ক বিভাগে প্রথমস্থান অধিকার করেছে, প্রগতি আদর্শ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শেখ নুসরাত নাদিয়া, দ্বিতীয়স্থান যশোর ইংলিশ স্কুলের আইয়ান রেজা, তৃতীয়স্থান নতুন উপশহর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাউদা সাফফানা ঈদ। খ বিভাগে প্রথম হয়েছেন পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদনিন তাজরী, দ্বিতীয়স্থান যশোর ইংলিশ স্কুলের ইউসরা মানহা, তৃতীয়স্থান যশোর কালেক্টরেট স্কুলের জুনাইনা আক্তার। গ বিভাগে প্রথম হয়েছেন দাউদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী সারদা সাহা স্নেহা, দ্বিতীয় পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হৃদিতা বিশ্বাস ভূমি, তৃতীয়স্থান বাদশাহ ফয়সল ইসলামি ইনসটিটিউটের রায়হান আক্তার মিথিলা।
এর আগে সকালে কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কেশবপুরের দত্তবাড়ি মহাকবির প্রতিকৃৎ তে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসন ও মধু কবিভক্ত বৃন্দরা।