স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
যশোরের বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। মৌসুম শেষ না হতেই সবজির সরবরাহ কমাতে দিনদিন দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে শহরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবজির সাথে সাথে ক্রেতা সমাগম কম। দোকানীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে কাঁচামাল পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘ তাপদাহের পর বৃষ্টির কারণে কাঁচামাল ক্ষেতে পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে সবজির দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম এক লাফে বেড়ে ১২০ টাকা কেজি হয়েছে। ডিমের হালিতেও গুণতে হচ্ছে ৪৮ টাকা। এদিকে মুরগির মাংসের দাম চড়া। তবে গরুর মাংস স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে মাছের বাজারে মূল্যতালিকা না থাকায় গলাকাটা যাচ্ছে ক্রেতার।

মাছের বাজারে অধিকাংশ দোকানে মূল্য তালিকা নেই। বিক্রেতারা নিজেরা যে যার মত দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করছেন। বাজারে তেলাপিয়া মাছ ১শত২০ থেকে ২শত ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাঙ্গাস ১শত৫০ থেকে ২শত ৫০ টাকা, রুই ২শত৪০ টাকা, শিং মাছ ৪শত ৮০ থেকে ৫শত টাকা, বাগদা চিংড়ি ৬শত থেকে ৭শত টাকা, কই ১শত ৮০ থেকে ২শত২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭শত৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১১শত ৫০ থেকে ১২শত ৫০ টাকা। মুরগির মাংসের দাম কিছুটা চড়া। প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২শত৩০ টাকা, সোনালী ৩শত৭০ টাকা, লেয়ার ৩শত৬০ টাকা, কাটা ব্রয়লার ২শত৭০ টাকা।
যশোর বড় বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সোহান বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কম। যে কারণে সব সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা মোকামে পাইকারি সবজি কম পাচ্ছি। সামনে আরও দাম বাড়তে পারে।
মাংস বিক্রেতা রহমত আলী বলেন, খামার থেকে বেশি দামে মুরগি ডশনে আনতে হচ্ছে। তারপর পরিবহন খরচ, শ্রমিকের মজুরি বাদ দিয়ে লাভের আশা। দাম কিছুটা বেড়েছে আমরাও ক্রেতাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আমাদের কম দামে বিক্রির সুযোগ নেই।
তমাল রায় নামে একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে নতুন সবজি কম। মাছ মাংসের দাম চড়া। হঠাৎ করে ডিমের দাম পিসে ২ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে গেছে। আমাদের মত নিন্ম আয়ের মানুষের মাংস কিনে খাওয়ার মত অবস্থা নেই। মাছের দাম তো যে যার মত নিচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।