বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মৎস্যজাত রেডি টু ইট পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে। বেড়েছে ফাস্ট ফুডের বিকল্প হিসেবে মাছের তৈরি হরেক পদের খাবারের চাহিদা। হোটেল, রেস্টরেন্টু ও কফিশপে ফিস বল, ফিস কাটলেট, ফিস রোল, ফিস সিঙ্গাড়া, ফিস বারবিকিউ, ফিস মম, ফিস ডোনাট, ফিস পাকুড়া, ফিশ বার্বিকিউ, ফিশ সামুচা’র চাহিদা বাড়ছে। এসব খাবার তৈরি ও বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদানে কাজ করছে ৬টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। বাংলাদেশ পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউণ্ডেশন (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় শরিয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসডিএস) মাইক্রোইন্টারপ্রেরাইস ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পের আওতায় ‘রেডি টু ইট’ উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
শনিবার যশোরে রুরাল রিকন্সট্রাকশন ফাউণ্ডেশন (আরআরএফ) প্রধান কার্যালয়ে দুই দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ উপ-প্রকল্পের আওতায় ৬ টি সহযোগি সংস্থার ২০জন ‘রেডি টু ইট’ উদ্যোক্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
ক্ষুদ্র উদ্যোগে মুল্য সংযোজিত মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া যশোরের মণিরামপুর উপজেলার পাড়িয়ালী ভানুর মোড়ের প্লাবনী ক্যাফে এণ্ড রেস্টুরেন্টের স্বত্ত্বাধিকারী প্লাবনী বকশি বলেন, আমি একটি কফিশপ পরিচালনা করি। কফির পাশাপাশি মাছের তৈরি তিনটি আইটেম বিক্রি করতাম। এখানে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও ৬টি আইটেম তৈরি ও বিক্রির বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছি। মাছের তৈরি বহু পদের খাবার বিক্রি করে লাভবান হওয়ার কৌশল শিখেছি। এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আরও লাভবান হতে পারবো।’
আরেক প্রশিক্ষনার্থী কেশবপুর উপজেলার পাচারই গ্রামের বাসিন্দা মিতা চক্রবর্তী বলেন, আমি একটি কফি হাউজ পরিচালনা করি। ফাস্টফুডের বিকল্প হিসেবে মাছের তৈরি হরেক রকমের খাবার তৈরি করা সম্ভব। সেটি এই প্রশিক্ষণে শিখেছি। ৬ রকমের মাছের খাবার তৈরি করে বিক্রি করতে পারবো। আমার কফি হাউজে মাছের তৈরি নতুন আইটেম যোগ করবো। এতে আমরা লাভবান হবো বলে আশা করছি।’
রুরাল রিকন্সট্রাকশন ফাউন্ডেশনের (আরআরএফ) সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ ড. অসিত বরণ মণ্ডল জানান, এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য নিরাপদ মাছ ব্যবহার করে উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত খাবার নতুন ভ্যালু অ্যাডেড পণ্য হিসেবে ভোক্তাদের টেবিলে পরিবেশন করা। এতে নতুন নতুন ‘মৎস্যজাত রেডি টু ইট’ পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ হবে। ভোক্তাদের নিরাপদ প্রোটিন সোর্স নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত মাছের নায্যমূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।