বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে কোরবান আলী (২৮) নামে এক যুবক গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। পুলিশ তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। কোরবান আলীর দাবি, তিনি ভাংড়ি মালামালের ব্যবসা করেন। শেখহাটি হাইকোর্ট মোড়ে তার একটি দোকান আছে। তার পাশের দোকানদার তুহিনের সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তুহিনের সহযোগী রিয়াদ তাকে ডেকে আমিনিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে যায়। মাদ্রাসার গেট দিয়ে ঢুকতেই ৮/১০ জন তার ওপর চড়াও হয়। বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। অস্ত্র-গুলি কোথা থেকে এলো তা তিনি জানেন না। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে শহরের খালধার রোডের আমিনিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ভিতর এ ঘটনা ঘটে।
কোরবান আলী যশোর শহরতলীর শেখাটি এলাকার বাবুর বাড়ির ভাড়াটিয়া মুজিবর রহমানের ছেলে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৯টার দিকে সংবাদ পাওয়া যায় যে স্থানীয় লোকজন অস্ত্রসহ এক যুবককে আটক করে পিটুনি দিয়েছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ কোরবান আলীকে আটক করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে কোরবানকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, কোরবানের বিরুদ্ধে মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা আছে; কোরবান নিজেই স্বীকার করেছে। বর্তমানে তিনি ওই মামলায় জামিনে আছেন। কোরবানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রীয়াধীন।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুবায়ের আহমেদ বলেছেন, কোরবান আলীর দুই পায়ে প্রচন্ড আঘাত লেগেছে। তার বামপা ভেঙে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
