বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের একটি গরুর খামার থেকে মিলন মোল্লা (৩৬) নামে এক রাখালের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে যশোর শহরের বকচর বকুলতলা এলাকার রানী চানাচুরের কারখানার অভ্যন্তরে খামারের ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেফতারে কাজ করছে বলে জানিয়েছে। নিহত মিলন মোল্লা মণিরামপুর উপজেলার জালঝাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের স্বজন ও সহকর্মীরা জানান, রানী চানাচুর কোম্পানির মালিক কারখানার অভ্যন্তরে ৯টি গরু পালন করেন। মিলন রাখাল হিসেবে গরুগুলো দেখভাল করতেন এবং খামারের পাশে খুপড়ি ঘরে থাকতেন। সোমবার সকালে সে ঘর থেকে বের না হওয়ায় সকাল ১০টার দিকে লোকজন গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করে। একপর্যায়ে ঘরের দরজায় ধাক্কা দিলে তার গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তাদের ধারণা রোববার রাতে তাকে কেউ হত্যা করেছে। তবে তার কোন শত্রু ছিল না বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
কোম্পানির তার সহকর্মি তরিকুল ইসলাম জানান, রোববার রাত ১১ টা পর্যন্ত তিনি এক নাইট গার্ডের সাথে ওয়াজ মাহফিল শুনেছেন। পরে তিনি ওই ঘরে ঘুমাতে যান।
নিহতের বাবা আসমত জানান, মিলন সেখানে একাই থাকতেন। মিলনের স্ত্রী ও দুই ছেলে মণিরামপুরের বাড়িতে থাকে। সকালে খবর শুনে তারা এসেছে। তার ছেলেকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা জানান, মিলন গত তিন বছর তাদের গরুর খামার দেখাশুনা করেন। কিন্তু আজও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। মিলন নিরীহ প্রকৃতির বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ওসি শহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবুল আক্তার, পিবিআই কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তারা হত্যা রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছেন।
এদিকে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুযেল ইমরান বলেন, মিলন হত্যার বিষয়ে এখনি কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।