বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে প্রতারণার অভিযোগ সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সোমবার সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগ কর্মী প্রতারণার অভিযোগ তুলে চলতি মাসের ১৯ জুন কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এর পর ছাত্রলীগ নেতা ও ওই নারী কর্মীর আপত্তিকর তাদের অন্তরঙ্গ ভিডিও, ছবি ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশর্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে চলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
জেলা ছাত্রলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তরিকুল ইসলামকে সংগঠনের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে তাকে স্থায়ী বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস বলেন, তরিকুল ইসলাম সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
এর আগে লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেত্রী উল্লেখ করেন, প্রায় দুই বছর আগে যশোর সরকারি এমএম কলেজের বাংলা বিভাগে পড়াশোনাকালে একই কলেজের ভূগোল বিভাগের ছাত্র ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর আস্তে আস্তে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। একে অপরকে দেয় বিয়ের প্রতিশ্রুতিও। সম্পর্ক গভীর হলে তারা একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। তরিকুল তার ভাড়া বাসায় স্ত্রী পরিচয়ে ওই নেত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন।
তবে সম্প্রতি মেয়েটি বিয়ের কথা বললে সম্পর্ক অস্বীকার করে তাকে খুনের ভয় দেখাচ্ছেন তরিকুল। এমনকি অন্যত্র বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে মেয়ে দেখছেন তরিকুলের পরিবার।