বিবি প্রতিবেদক
গায়ে কাঁটা দেয়া তীব্র শীতে কাঁপছে যশোর। গ্রামীণ জনজীবনে জবুথবু অবস্থা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেও জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।
তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। শীত উপেক্ষা করে কাজ বেরিয়ে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। এদিকে সকাল থেকে যশোর শহরের সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম দেখা গেছে।
যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল যশোরে বাতাসের আদ্রতা রয়েছে ৯৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীতের মধ্যেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় অভিভাবকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
গতকাল সকালে যশোর জিলা স্কুল, যশোর বালিকা মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়, বাদশাহ ফয়সাল ইসলামী ইন্সটিটিউট, যশোর বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, কালেক্টরেট স্কুল, যশোর ইনস্টিটিউট স্কুলসহ বেশ কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, সেখানকার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রয়েছে। উপজেলা পর্যায়েও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানেও কোনো স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। সকালে তীব্র শীত উপেক্ষা করে শিশুদের স্কুলে নিয়ে আসেন অভিভাবকরা।
জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী রাইয়ানের অভিভাবক নাছিম রেজা বলেন, ঠান্ডার মধ্যে বাচ্চা স্কুলে চলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরে তাকে বাসায় নিয়ে যাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এজন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও বিপাকে পড়েছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নিলে ভোগান্তি কম হত।
জুবায়ের জনি নামে যশোর জিলা স্কুলের এক অভিভাবক বলেন, শীতের মধ্যে রিকশায় করে বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে গিয়েছিলাম। হাত-পা হিমশীতল হয়ে গেছিল। স্কুল খোলা থাকায় যেতে হয়েছে।
গতকাল সকালে জেসমিন আরা নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, হাড়কাঁপানো শীতেও স্কুল খোলা রয়েছে। সকালে বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে এসেছিলাম। এখন নিতে এলাম। এত ঠান্ডায় খুবই কষ্ট হচ্ছে। খোলা থাকলে, ক্লাস মিস দিলে সমস্যা। তাই বাধ্য হয়েই আনা।
লাভলী ইয়াসমিন নামে যশোর কালেক্টরেট স্কুলের এক অভিভাবক বলেন, হাড়কাঁপানো শীত। স্কুল খোলা থাকায় ছেলেকে স্কুলে দিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু মেয়েটাকে কদিন ধরেই স্কুলে পাঠাচ্ছি না। স্কুল খোলা থাকলে, ক্লাস মিস দিলে আবার সমস্যা।
জানতে চাইলে যশোর কালেক্টরেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোদাচ্ছের আলী বলেন, শিক্ষা অফিস থেকে কোনও নির্দেশনা পাইনি। স্কুল খোলা রয়েছে।
মোতাহার হোসেন নামে এক স্কুল শিক্ষক বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির কম হলেও পাঠদান বন্ধের কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। এজন্য পাঠদান চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন জানান, খুব সকালে তাপমাত্রা ১০ এর নিচে নেমেছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমাদের স্কুলের সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এ সময় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির বেশি রয়েছে। তারপরও আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যদি কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়, তাহলে স্কুলগুলোকে জানিয়ে দেয়া হবে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মোছা. খালেদা খাতুন রেখা বলেন, স্কুল বন্ধের বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছি। কোনো সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলাসহ যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল ও মাদারীপুরসহ ২২ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
শিরোনাম:
- রূপদিয়ায় ১৪টি পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাটের নেপথ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ
- ‘প্রেমের সম্পর্কে রবিউলের সাথে বিয়ে, কেউ কাউকে ধরে নিয়ে বিয়ে করিনি’
- প্রতারণার মামলা : যশোরের সাবেক মেয়র পলাশের কারাদণ্ড
- কৃষি ব্যাংক রেমিট্যান্স উৎসব মাসে শিরিনার ফ্রিজ জয়
- ঢাকার বাইরে প্রথমবার যশোরে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলের ক্যাম্প
- ৬ দফা দাবিতে যশোরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট
- চিত্রা মডেল কলেজ উন্নয়নে সভাপতি শামীমের ৭ লাখ টাকা অনুদান
- যশোর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দুদকের অভিযান