বিবি প্রতিবেদক
যশোরে তীব্র শীতের মাঝে গতকাল ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। শীতের তীব্রতা ও বৃষ্টি ভোগান্তি বাড়িয়েছে যশোরবাসীর। গতকাল মাঝরাতের পর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত থেমে থেমে চলে দিনব্যাপি। এতে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায় খেটে খাওয়া মানুষসহ নিম্নআয়ের মানুষদের।
শীতের মধ্যে বৃষ্টিপাতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন নিম্নআয়ের মানুষ। দুপুরে পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের দেখা। পরে সূর্য উঁকি দিলেও তা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি।
দুপুরের পর থেকে হিমেল বাতাসের সাথে আবারো শুরু হয় বৃষ্টি। সেই সাথে নেমে আসে কনকনে শীত। এদিন যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যশোর বিমানবাহিনীর আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, গতকাল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শীতের হিমেল বাতাস কাঁপিয়ে তুলছে জেলার ছিন্নমূল মানুষগুলোকে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে পথে-ঘাটে থাকা এই মানুষগুলো দুর্বিষহ দিন পার করছেন। যশোরে রেলস্টেশন ও ফুটপাথগুলোতে ছিন্নমূল মানুষকে কম্বল মুড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়, হাত-পায়ের মোজা, টুপি, মাফলার, জ্যাকেটের চাহিদা বেড়েছে।
বেসরকারি চাকরিজীবি এহসান উল্লাহ বলেন, একে তো তীব্র শীত, তার ওপর আবার বৃষ্টি। দুয়ে মিলে স্বাভাবিক কাজকর্ম যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে-কোচিংয়ে আনা-নেয়াতেও দুর্ভোগ। সেই সাথে আছে অফিস যাতায়াতের দুর্ভোগ।
শহরের মুজিব সড়কে ইজিবাইক চালক শাহাবুদ্দীন বলেন, ভোর থেকে শীতের সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। তার সঙ্গে বাতাস তো আছেই। বৃষ্টি ও শীতের কারণে ইজিবাইক চালাতে কষ্ট হচ্ছে। ভাড়াও তেমন একটা হচ্ছে না। মানুষ কুব জরুরি না হলে বাইরে বের হচ্ছেন না।
খালিদ হাসান নামে এক পথচারী বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই বেশ শীত পড়ছে। এর মধ্যে বৃষ্টিতে আজ শীতের তীব্রতা একটু বেশি। হাত-পা শীতল হয়ে গেছে। গরম কাপড়ের সঙ্গে হাত মোজা, পায়ের মোজা পলেও স্বস্তি মিলছে না।
রিকশাচালক আক্কাস আলী বলেন, তিনটি শার্ট, দুটি প্যান্ট, মোজা পরেছি। সেই সঙ্গে মাফলার ও মাথায় টুপি দিয়ে কান মুখ ঢেকে রেখেও শীতে কাবু হয়ে যাচ্ছি। একটি ট্রিপ দিলে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। পেটের দায়ে এত শীতের মধ্যেও বের হতে হয়েছে।
এদিকে শীতের প্রকোপে রোগীর চাপ বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ও যশোর শিশু হাসপাতালে দ্বিগুণের বেশি রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, শিশুরা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে অসুস্থ শিশুদের চাপও বেড়েছে। বর্তমানে এই হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ৭০-৮০ ভাগই শীতজনিত কারণে অসুস্থ। তাদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। আবার শীতজনিত কারণে মারা গেলেও পরিসংখ্যান ওইভাবে করা সম্ভব হয় না। কারণ, শীতের কারণেই রোগীর অ্যাজমা সমস্যা বাড়ে, কাশি বাড়ে, জ্বর থেকে নিউমোনিয়া হয়; কিন্তু মারা গেলে এসব রোগই শনাক্ত করা হয়। তখন তা শীতজনিত কারণে বলা সম্ভব হয় না।
শিরোনাম:
- নড়াইলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২
- তাঁরার মেলা শিল্পী গোষ্ঠীর নাত-ই রাসুল সন্ধ্যা
- আসাদ স্মৃতির সেলাই মেশিন ও নগদ টাকা বিতরণ
- বালির বস্তাবন্দি প্রতিবন্ধীর মরদেহ উদ্ধার
- যশোর কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান
- প্রেমিকার ডাকেও …….!
- যশোরে পুনশ্চ’র বার্ষিক সনদপত্র বিতরণ
- অভয়নগরে পূর্বশত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে শ্রমিক নিহত, আহত ২