বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের সদর উপজেলার রামনগরের ভাটপাড়া এলাকায় নিখোঁজ হওয়া কিশোর তানভির হাসান নিশানের (১৪) মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তানভির হাসান নিশান ভাটপাড়া আলিয়া মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাশের দোকানে যাওয়ার কথা বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই সময় তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিশানের মোবাইল নম্বর দিয়ে ফোন করে পরিবারের কাছে পাঁচ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং কিছুক্ষণ পর ফোন কেটে দেয়। এ ঘটনার পর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
সোমবার দুপুরে বাড়ির কাছের একটি পুকুরে কাজ করার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তির পায়ে কিছু লেগে গেলে সন্দেহ হয়। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরের নিচ থেকে চাপা দেয়া অবস্থায় নিশানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিশোরের হাত-পা লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা ছিল এবং তার মরদেহ পাথর দিয়ে চাপা দেয়া হয়েছিল। স্থানীয়দের ধারণা, মুক্তিপণ না পেয়ে নিশানকে হত্যা করা হতে পারে। খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত জানান, “বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আতঙ্কিত স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।