বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের অভয়নগরে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আফরোজা বেগম (৪০) নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) নূরে আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে এই কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অভয়নগর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম ও কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব অভয়নগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে, সে কারণে পুলিশ সুপারের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের কোন গাফিলতি ছিল কিনা তা এই কমিটি তদন্ত করে দেখবে। পুলিশের কোন সদস্যের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার (১ জুন) গভীর রাতে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নর্থবেঙ্গল রোড এলাকার জলিল মোল্যার স্ত্রী আফরোজা বেগমকে মাদকসহ আটক করার দাবি করে পুলিশ। পরদিন সকালে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান আফরোজা বেগম। তার স্বজনরা দাবি করেন, পুলিশের নির্যাতনে আফরোজা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের ময়নাতদন্ত বোর্ডের কর্মকর্তা আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার আব্দুস সামাদ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য এসব আলামত ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেলেই তা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে পুলিশ সুপারের কাছে দেয়া হবে।
এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে রোববার রাতেই স্বজনদের কাছে আফরোজা বেগমের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। অভয়নগরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়।