বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে এক মহিলার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে ও একাধিক ব্যক্তির সাথে প্রতারণার অভিযোগে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতে মামলা হয়েছে। যার সি আর মামলা নং— ২৯০০/২৫। আদালত কোতয়ালী থানার ওসিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত সুমি খাতুন সদর উপজেলার ছোট শেখহাটি গ্রামের কালু মোল্যার মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বছর দুয়েক আগে হাফিজ মোল্যার সাথে সুমি খাতুনের বিয়ে বিচ্ছেদের পর সুমি জনৈক কালাম নামে অপর এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। বর্তমানে কালামের সাথে সংসার করলেও প্রাক্তন স্বামীর সাথে যোগাযোগ রাখাসহ তার বিপদের কথা বলে হাফিজের কাছ থেকে ষাট হাজার টাকা ধার নেন। পরে টাকা শোধ না করে টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে টাকা আদায়ে হাফিজ মোল্যা লিগাল নোটিশ দিলেও সুমি তা গ্রহণ করেননি। সর্বশেষ হাফিজ মোল্যা সুবিচারের আশায় সুমি খাতুনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
শুধু তাই নয়, প্রতারক সুমি খাতুন পুনরায় হাফিজকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নগদ ৪৭ হাজার টাকা ও ৭০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের গহনা চুরি করে নিয়ে যায়। এ বিষয়েও হাফিজ মোল্যা কোতয়ালী থানায় অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি। এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার তদান্তকারী অফিসার এসআই ইলিয়াস হোসেন জানান, তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ হলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগে সুমি খাতুন এক প্রবাসীসহ চারজনকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে তালাক দিয়েছেন।