বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরের লাল দিঘির পশ্চিমপাড়ে বিএনপি অফিস ভাংচুর, লুট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকরা মামলার সন্দিগ্ধ আসামি শফিয়ার রহমান (৪০) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা। তিনি চাঁচড়া ভাতুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। গত ৪ আগস্ট দুপুরে যশোর শহরে লালদীঘির পাড়ে বিএনপি অফিস কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব সদস্যরা পুলেরহাট বাজার থেকে শফিয়ারকে আটক করে। পরে পুলিশে সোপর্দ করে। তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত করে বিএনপি অফিস লুট ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার প্রমান পাওয়া গেছে। ৪ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জন আসামি বঙ্গবাজারের সামনে দিয়ে লালদিঘির পশ্চিমপাড়ে যায়। সে সময় যুবলীগ নেতা মাহমুদ হাসান বিপু, শাহজাহান কবির শিপলু, সুজন, রাসেল রেজওয়ান, হাজি সুমন, শাহারুল, কসাই মনিরের হাতে পেট্রোলের ঢম ছিল। তারা প্রথমে বিএনপির অফিসের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ২টি ল্যাপটপ, দেওয়াল ঘড়ি, স্টিলের আলমারি লুপপাট করে।
অফিস তছনছ করে। পরে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় ৪০ মিনিট তাণ্ডব চালায়। যাওয়ার সময় হিটার নয়ন, আনোয়ার হোসেন সবুজ, রাজু আহমেদ, আলিমুজ্জামান মিলন, হাদিউজ্জামান চিমা, কালো ফারুক, চঞ্চল ওরফে ট্যারা চঞ্চল, মামুনসহ অনেকে বোমার বিস্ফেরণ ঘটনায়।
ওই অফিসের কর্মচারি মনিরুল ইসলাম ও পথচারি কালু তা প্রত্যক্ষ করে।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে, যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল, মাহমুদ হাসান লাইফ, হাজি সুমনসহ অনেকে বোমার ও অর্থের যোগান দেয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা ও বিএনপির আন্দোলনের ফলে সরকার পতনের কাছাকাছি এসে দাড়ায়। ফলে আসামিরা দিশেহারা হয়ে বিএনপি অফিসে আগুন দেয়। এই ঘটনায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল গফুর গত ৮ সেপ্টেম্বর কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনের কথা বলা হয়।