বাংলার ভোর প্রতিবেদক

যশোরে বিধবা সোনাবানুকে (৪০) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সন্ন্যাসী বটতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার দুপুরে সন্ন্যাসী বটতলা গ্রামের একটি বাগানের ভিতর থেকে মাটি খুড়ে ওই বিধবা নারীর মরদেহ উদ্ধার করে যশোর কোতোয়ালি পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

নিহত বিধবা নারীর স্বজনরা সাংবাদিকদের বলেছেন, বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সোনাবানু। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে শুক্রবার দুপুরে নিহতের বাড়ির কিছু দূরে একটি বাগানের ভিতর ছড়ানো ছিটানো মাটি দেখতে পান স্বজনরা।

এরপর পুলিশ এসে মাটি খুড়ে একটি ছোট গর্ত থেকে সোনাবানুর মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের গলায় ওড়না পেচানো ছিলো। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের স্বজনদের দাবি, সোনাবানু স্বামী মারা যাবার পর এক সন্তান নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই স্বামীর আগের ঘরের স্ত্রী সন্তান ছিলো।

দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে সোনাবানুর আরও দুটি সন্তান হয়। দ্বিতীয় স্বামী মারা যাওয়ার পর সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে নিজ ছেলে ও সতীনের ছেলের সাথে বিরোধ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায়  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এলাকার আরিফ হোসেন ও তার স্ত্রী ইভাসহ তিনজনকে থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছেন। তদন্ত চলছে, শিগগির রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন, তিনি।

Share.
Exit mobile version