বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে মধ্যরাতে তানভীর হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। একই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার ব্যবহৃত চাকুটি। মধ্যরাতে আনসার ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাদক বেচাকেনা নিয়ে দ্বন্দ্বেই খুন হয়েছে তানভীর। এরআগে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শহরের বেজপাড়া তালতলা এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় তানভীরকে। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত তানভীর শংকরপুর হাজারিগেট এলাকার মিন্টুর ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, ‘ঘটনার পর রাতেই কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের টিম অভিযানে নামে। তারা রক্তের ছাপ পর্যবেক্ষণ করে ওই এলাকার সোনা মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে সোনা মিয়াকে আটক করে। পরে ওই বাড়ির ছাদ থেকে একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আটক করা হয় একই এলাকার সাক্ষরকে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বর জেরে খুন করা হয়েছে তানভীরকে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে যশোর শহরের শংকরপুর বেলের মাঠ এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে পাঁচটি বোমা ও একটি চাকুসহ নাঈম ও সাজু নামে দুই যুবককে আটক করে। এসময় তানভীর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া বোমাগুলো তানভীরের। পালিয়ে তিনি বেজপাড়া আনসার ক্যাম্পের পেছনে অবস্থান নিলে সেখানেই তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তার পকেট তল্লাশি করে একটি কাচের বোতলের ভিতরে ৬১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে।’
