বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পালিত ছেলের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার শহরের মনিহারস্থ ফলপট্টি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ৯৯৯ ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ বিকাল পাঁচটার দিকে নিহত খালেদা খানম রুমির মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ছেলে শেখ শামস্ (২৪) আটক করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মনিহারের ফলপট্টির শামস্ মার্কেটের দ্বিতীয় তলাতে খালেদা খানম বসাবস করেন। তার কোন সন্তান না থাকায় তিন মাস বয়স থেকে শামসকে দত্তক সন্তান হিসাবে বাড়িতে রাখেন। শনিবার সকাল থেকে ফলপট্টির দোকানদাররা পানি না পাওয়াতে খালেদাকে ডাকাডাকি করেন। ঘর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দুপুরে আবার ডাকাডাকি করেন। ভিতর থেকে কেউ দরজা না খোলাতে দোকানদাররা ৯৯৯ কল দেন।
পরে স্থানীয় ফাঁড়ির সদস্যরা এসে ডাকাডাকি করলে শামস্ দরজা খোলে। এসময় পুলিশ ও দোকানদাররা খালেদার খোঁজ নিলে বাড়িতে নাই বলে জানিয়ে দেয়। পরে পুলিশের সন্দেহ হলে খালেদার কক্ষের দরজার কাছে গেলে দরজা খুলতে নিষেধ করেন। এক পর্যায়ে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে শুক্রবার রাত ১ টার দিকে খালেদাকে লাঠি দিয়ে পিটিতে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেন।
খালেদার কক্ষে মরদেহ রয়েছে বলেও শামস্ পুলিশকে জানান। পরে খালেদার স্বজনের উপস্থিতিতে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করে কোতয়ালী মডেল থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা জানান, শামস মাদকাসক্ত। বিভিন্ন সময়ে মাদকের টাকার জন্য সে তার মাকে মারধর করতেন। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।