বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাটি করেছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, দায়েরকৃত মামলায় বাদী এসএম আফজাল হোসেন উল্লেখ করেছিলেন, ৫ নভেম্বর (২০১৪) যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সভায় তারেক রহমান বলেন, ‘মুজিবর রহমান স্বাধীনতাকামী মানুষের হত্যাকারী। তিনি পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এজন্য শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীর মামলা হওয়া উচিৎ। অন্যদিকে তার বাবা জিয়াউর রহমান শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কিংবা প্রথম রাষ্ট্রপতিই ছিলেন না, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন।’
মামলায় উল্লেখ করা হয়, তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘৃণা, বিদ্বেষ, অবজ্ঞা ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তারেক রহমান এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এরপর আদালতের নির্দেশে যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়।’
যশোর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করেন। দীর্ঘ নয় বছর ধরে চলমান এ মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক শেখ নাজমুল আলম।