বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রায়মানিক গ্রামে নয় বছরের এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
মানবন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত সোহাগ ও তার পরিবারের সদস্যরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।
এমনকি ‘দেখে নেয়ার’ হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে সমাবেশে অভিযোগ করা হয়।
গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে ওই শিশুটি এলাকার মুদি দোকানদার সোহাগের দোকানে ‘সেন্টার ফ্রুট’ কিনতে গিয়েছিল।
অভিযোগ, এই সুযোগে সোহাগ শিশুটির মুখ চেপে ধরে দোকানের পাশে থাকা গোডাউনে নিয়ে যায়। এরপর গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই অভিযুক্ত সোহাগ দ্রুত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার কোতোয়ালি থানায় এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে।
যদিও ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত সোহাগ এখনও অধরাই রয়েছে। সোহাগের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল বলেন, আমরা মামলাটি রেকর্ড করেছি। অভিযুক্ত আসামি সোহাগকে দ্রুত আটক করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আশা করি দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্ত ধর্ষক সোহাগকে দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হোক।
যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন জঘন্য অপরাধ করার সাহস না পায়।
