বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সভাপতি-সম্পাদকের দুই সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। মাত্র দুই নেতার কমিটি হলেও এক সঙ্গে নেই তারা। কমিটি ঘোষণার ৮মাসের দ্বিধা-বিভক্তির ধারাবাহিকতা ছিল স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতেও।
শনিবার সংগঠনটির সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক এস এম নিয়ামত উল্লাহ ছিল পৃথক কর্মসূচি। বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে শ্রদ্ধা নিবেদন, র্যালি আলোচনা সভার আয়োজন করে মিঠু গ্রুপ। অন্যদিকে বিক্ষোভ মিছিল আর দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজন নিয়ামত গ্রুপ। দলীয় কর্মসূচিতে পৃথক কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, জেলায় সংগঠনটির এ অবস্থার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দলীয় কোন্দল আর স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান জেলা নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যত দুটি গ্রুপে বিভক্ত। একটির নেতৃত্বে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার অপরটি সদরের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ। এর প্রভাব পড়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগেও। ফলে শনিবার সকালে শহরের খাড়িখানাস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়। এ উপলক্ষে বিকেলে জেলা পরিষদ সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করেন যশোর শহর ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি আসাদুজামান মিঠু। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মফিজুর রহমান ডাব্লুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ইমামুল কবির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, যুগ্ম আহবায়ক শেখ ইব্রাহিম, উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শাহজাদা নেওয়াজ, কচুয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুক্ত খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মাহামুদ হাসান সুমন। আলোচনা সবার শেষে র্যালি বের করেন নেতৃবৃন্দ। এর আগে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে মিঠুর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাংশের নেতৃবৃন্দ, সদর ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সেখানে আসাদুজামান মিঠু দলীয় দলীয় নেতাকর্মীদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
অন্যদিকে, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আরেক অংশ নিয়ে শহরের বকুলতলাস্থ বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক এসএম নিয়ামত উল্লাহ। এদিন বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শহরের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপরে গাড়ীখানাস্থ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্ট সহিংসতায় নিহতদের স্মরণ ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু ম্যুারালে, গাড়ীখানাস্থ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে ও বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ, সদস্য সামিউল ইসলাম পিয়াস, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামত উল্লাহসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।