বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের এক স্কুলছাত্রী অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিয়ে বাবা-মায়ের বকাঝকার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সদর উপজেলার নতুন খয়েরতলায় নিজ শয়নকক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত কিশোরীর নাম নুরি খাতুন (১৪)। সে এলাকার রনি ইসলামের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এই মর্মান্তিক ঘটনায় পরিবারসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে নুরিকে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে তার বাবা-মা বকাঝকা করেন। বকুনি শোনার পর অভিমানে নুরি তার শয়নকক্ষে চলে যায়। এরপর পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করেও তার কোনো সাড়া পাননি। সন্দেহ হওয়ায় তারা দরজা খুলে দেখেন, নুরি নিজ কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দ্রুত নুরিকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নুরিকে হারিয়ে তার বাবা-মায়ের আর্তনাদ ও আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নুরি খুব শান্ত, ভদ্র স্বভাবের এবং পড়াশোনায় মনোযোগী মেয়ে ছিল। সামান্য বকাঝকায় সে এমন চরম সিদ্ধান্ত নেবে, তা কেউই কল্পনা করতে পারেননি।

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যাজনিত অপমৃত্যু বলেই মনে হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version