বিবি প্রতিবেদক
যশোরে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসক বলছেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে এই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। আজ (শনিবার) সকালে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই আসামির নাম হাবিবুর রহমান (৭০)। তিনি মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার কোটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান হঠাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় দায়িত্বরত কারারক্ষীরা দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রেজওয়ানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই ব্যক্তির মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
কারাগারের জেলার শরিফুল আলম বলেন, ‘মাগুরার শালিখা উপজেলার কোটভাগ গ্রামে সাহেব আলী নামে এক কৃষককে হত্যার দায়ে হাবিবুরকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ২০২৩ সালের ৬ জুন দুপুরে মাগুরা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এ আদেশ দেন। এরপর মাগুরা কারাগার থেকে হাবিবুর রহমানকে ২০ জুন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে ফাঁসির কনডেম সেলে রাখা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল সকালে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবারকে জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
শিরোনাম:
- কোটচাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের নবীণবরণ
- হাইকোর্টের আদেশ উপেক্ষা : ফ্যাসিস্টের রিপ্লেসে ‘দখল’ যশোর সিটি ক্যাবল
- যশোরে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
- মণিরামপুরের গৃহবধূকে আত্মহত্যা প্ররোচনা স্বামী-শ্বশুরের নামে চার্জশিট
- চোখে ‘শর্ষে ফুল’ দেখা সাজেদার এখন ফুলেল জীবন
- মৌমাছি স্কুলে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন
- যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃতি সংবর্ধনা
- সংগ্রামী রূপা খাতুনের সাবলম্বী হওয়ার গল্প