কালীগঞ্জ সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে হুমকি দেওয়া নিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোর থেকে এসে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় রিয়াজ নামে একজনকে জনতা ছুরিসহ ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শহরের মোবারকগঞ্জ চিনিকল স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কালীগঞ্জ পৌরসভার বলিদাপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ইফতেখার আনোয়ার প্রেম (১৫) ও তার বন্ধু মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সাবেক ব্যবস্থাপক (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদুর রহমানের ছেলে নাজমুস সাকিব হিমেল (১৫)। এরা দুজনই এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এদিকে ছুরি নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়া যুবক রিয়াজ হোসেন (২২) ওরফে ট্যাটু রিয়াজ। সে যশোর পুলিশ লাইন এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে কালীগঞ্জের হিমেল ও যশোরের রিয়াজ একে অপরকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে যশোর থেকে রিয়াজ ও তার বন্ধু যশোরে থেকে কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ চিনিকল কলোনীতে আসে। কলোনীর মধ্যে বাসার নামে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে তারা মোবারকগঞ্জ চিনিকল স্কুল মাঠে আসে।
এ সময় রিয়াজ ও হিমেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পকেট থেকে রিয়াজ ছুরি বের করে হিমেলকে জখম করে। এ সময় আর এক বন্ধু ইফতেখার আনোয়ার প্রেম ঠেকাতে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন রিয়াজকে ছুরিসহ ধরে ফেলে গণধোলাই দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হৃদয় হোসেন জানান, বিকেলে ছোটভাইদের সাথে স্কুল মাঠে বসে ছিলাম। পরে হিমেল আসলো। এ সময় যশোর থেকে আসা ওই দুই যুবক এসে হিমেলের সাথে কথা বলছে। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতি শুরু করে। তাদের ঠেকিয়ে দেওয়ার পর মিলের মধ্যে এক আত্মীয়ের বাসায় যায়। এরপর আবার ফিরে এসে হিমেলকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় রিয়াজ।
তখন প্রতিবাদ করলে আবারও মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই ছেলে পকেট থেকে ছুরি বের করে এলোপাতাড়ি চালাতে থাকে। পরে দেখি হিমেল ও প্রেমের পায়ে ছুরি লেগে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, আটক রিয়াজের কাছ থেকে একটি চায়না ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ছুরি দেখলেই ভয় লাগবে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।