বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলসহ চার ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে যশোর সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে আবারো হানা দেওয়ার ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত বছর (২০২৩ সাল) ৫ মার্চ সরকারি ওই কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত ও কর্মচারীকে মারপিট করেছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলসহ তার ক্যাডাররা। ওই ঘটনায় জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণ থানায় মামলা করলে ম্যানসেলকে কয়েক মাস হাজতবাস করতে হয়। ‘জোর করে’ সেই মামলা প্রত্যাহারের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করাতে বুধবার ওই অফিসে হানা দেন ম্যানসেল।
যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহবুব রহমান ম্যানসেল যশোর পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গত বছর ওই হামলার পর দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। সন্ত্রাসী ম্যানসেলের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ দেড় ডজন মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ৫ মার্চ সন্ত্রাসী ম্যানসেল যশোর শহরের মুজিব সড়কের সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে যান। তাকে সেবা দিতে দেরি হয়েছে এই অযুহাতে ম্যানসেল ও তার ক্যাডাররা ওই অফিসের কর্মচারী আল আমিনকে মারপিট এবং জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ম্যানসেলসহ চার ক্যাডারকে গ্রেফতার করে। পরে জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণ কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এই মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশিটও দাখিল করেছে।
সূত্র আরও জানায়, সম্প্রতি এই মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন সন্ত্রাসী ম্যানসেল। একাধিক দিন ম্যানসেল তার ক্যাডারদের তার অফিসে পাঠিয়েছেন আপোষ মীমাংসার এফিডেভিটের কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়ার জন্য। কিন্তু তিনি রাজি হননি। গতকাল ম্যানসেল তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ফের সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে হানা দেন। এ সময় তিনি আপোষ মীমাংসার কাগজে স্বাক্ষর করার জন্য মুনা আফরিনকে ভয় ভীতি দেখান। এই খবর পেয়ে পুলিশ ওই অফিসে উপস্থিত হয়ে ম্যানসেলসহ চার সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটকরা সবাই পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। এদের নামে বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, হত্যাসহ মামলা রয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র থেকে ম্যানসেলসহ তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছেন জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণ। তবে ম্যানসেল ছাড়া আটক বাকিদের নাম জানাতে পারেননি তিনি।
জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণ জানান, সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য ম্যানসেল চাপ দিচ্ছিলেন। এমনকি তিনি আপোষ মীমাংসার কাগজ তৈরি করে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য তার অফিসে হানা দেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তিনি এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন।
শিরোনাম:
- একই সঙ্গে দুই কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদুলের নজিরবিহীন দুর্নীতি
- অভয়নগরকে হারিয়ে ফাইনালে কালীগঞ্জ
- অফিস সহকারী পদে হেলালের এমপিওভুক্তি নিয়ে লুকোচুরি
- শিক্ষার মান উন্নয়নে ভালো শিক্ষক দরকার
- উপশহর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত
- ‘বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়তে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে’
- যশোরে নতুন আঙ্গিকে ব্রাদার্স ফার্নিচার শো রুম উদ্বোধন
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস