বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার এক মাস পর উল্টো মৃতের স্বামী ও ভাইপোর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক হাসিব মো. আলী হাসান।
অভিযোগে ডা. হাসিব উল্লেখ করেন, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে তিনি জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনকালে ঘোপ নওয়াপাড়া রোড এলাকার বাসিন্দা উপল ও তার চাচা খন্দকার মাসুদুল হক এক নারী রোগী নিয়ে আসেন। তখন তিনি তৎক্ষণাৎ রোগীর কাছে ছুটে যান এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই সময় রোগীর স্বজন উপল তার সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
এ সময় তার ওপর শারীরিক ও মানসিক হুমকি তৈরি করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডা. হাসিব আরও জানান, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং তার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। তিনি দাবি করেন, ৭ এপ্রিল দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে হাসপাতালে প্রবেশের সময়ও ওই দুই ব্যক্তি তাকে হত্যার হুমকি দেন। তাই নিরাপত্তা শঙ্কায় তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
অন্যদিকে, মৃত আনোয়ারা খাতুনের পরিবার দাবি করেছেন, ওই দিন সকালে চাচীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কোনো চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না। অনেক ডাকাডাকির পর এক চিকিৎসক বের হয়ে আসেন এবং তড়িঘড়ি করে রোগীকে দেখে ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানেই আনোয়ারা খাতুন মারা যান।
রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ এনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন করেন। প্রাথমিকভাবে তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও তা নিরপেক্ষ নয় দাবি করে নতুন কমিটি গঠনের আবেদন করেন স্বজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
এ পরিস্থিতিতে ডা. হাসিব নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে স্বজনদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে দাবি রোগীর পরিবারের। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়ে রোগীর স্বজনরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।