বিবি প্রতিবেদক
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৪ আসনের নোঙর প্রতিকের প্রার্থী বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির (বিএমজেপি) কেন্দ্রীয় সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানান তিনি।
এ সময় বিএমজেপির সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সচল রাখার জন্য চলতি ২০২৪ দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য ৮৮ যশোর-৪ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সুষ্ঠু স্বাভাবিক এবং আইনগত দিক থেকে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমি বর্তমান নির্বাচন থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
তিনি যশোর-৪ আসনে নোঙর মার্কা নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্টের (বিএনএম) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল তাকে।
সুকৃতি বলেন, নোঙর মার্কায় নির্বাচন করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সুষ্ঠু স্বাভাবিক এবং আইনগত দিকে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমি বর্তমান নির্বাচন থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে উদাহরণ দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের নাতি-নাতনি, গ্যাতিগুষ্টি নিয়ে নির্বাচন করছে। এ নির্বাচনে আমাদের দাওয়াত ছিল। আমরা এসেছিলাম। ভালো পোশাক-আশাক পরেই নির্বাচনে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি মেজবানি খাওয়ার যে দাওয়াত ছিল সেটা অলরেডি খাওয়া হয়ে গেছে। তাই আমি সসম্মানে বিদায় নিয়েছি।
নিরাপত্তা পরিবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি প্রার্থী হওয়ার পর থেকে প্রশাসন আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছে। এ বিষয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই।
নিউজের ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি প্রকৃতি কুমার মণ্ডল, সহকারী শুলভ বিশ্বাস, যশোর জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখর চন্দ্র সরকার, বাঘারপাড়া উপজেলা সভাপতি উত্তম কুমার মণ্ডল, পায়রা ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মকবুল হোসেন, দরাজহাট ইউনিয়নের সভাপতি বিধান দেবনাথ।
প্রসঙ্গত, যশোর-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে প্রথমে রিটার্নিং অফিসার, পরে নির্বাচন কমিশন, উচ্চ আদালত ও আপিল বিভাগে আপিল করেছেন বিএনএম প্রাথী সুকৃতি মণ্ডল।
সর্বশেষ ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এর দুইদিন পর বিএনএম প্রাথী সুকৃতি মণ্ডল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে এমন বক্তব্য দেন।