বাংলার ভোর প্রতিবেদক

যশোরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে মারপিটের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শহরের চোপদার পাড়ার মোল্লা জাহিদ হোসেনের মেয়ে সাদিয়া জাহিদ যুথি (২৬) সোমবার ২২ এপ্রিল রাতে মামলা করেন। মামলায় তিনি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আরাজি সাজিয়ারা গ্রামের রাশেদ আলী খানের ছেলে বর্তমানে পাইকগাছা ভূমি অফিসে চেইন ম্যান হিসেবে কর্মরত আরিফুল ইসলাম খানকে (৩৬) আসামি করেন।

মামলঅয় তিনি বলেন, আসামি যৌতুকলোভী প্রকৃতির লোক। ২৩ সালের ২৬ আগস্ট পারিবারিক দেখাশুনার মাধ্যমে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে আসামির সাথে আমার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। এরপর পাইকগাছা থানাধীন বাতিখালী নামক স্থানে ভাড়া বাসায় ঘর সংসার করাকালে আসামি বিভিন্ন সময়ে আমার কাছে যৌতুক বাবদ আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করে। আমি আসামির দাবিকৃত যৌতুকের দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আমার সাথে বিভিন্ন সময় অশোভন আচরণ করে।

একই সাথে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। আমি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করিয়া আসামির সাথে সংসার করতে থাকি। ইতিপূর্বে আসামি আমাকে মারপিট, করে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমি আমার পিতার বাড়ী যশোরের শংকরপুরে অবস্থান করি। কিছুদিন পর আমার পিতা-মাতা আসামিকে বিভিন্ন ভাবে বোঝায়।

বিষয়টি মিমাংসার জন্য সংবাদ দিলে চলতি বছরের ২৬ মার্চ সকালে আসামি যশোর শংকরপুর চোপদার পাড়া রোডস্থ হোল্ডিং নং-৬০৪ আমার পিতার বাড়ি আসে। ওই সময় আমি আমার পিতার বাড়িতে অবস্থান করি। তখন আমিসহ আমার পিতা-মাতাকে আসামি বলে আমাকে ৫ লাখ টাকা প্রদান করিস তাহলে তোকে নিয়ে ঘর সংসার করব। নাহলে তোকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে যৌতুক নেব।

আসামির দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি, চড়, থাপ্পড় মেরে জখম করে। তখন আমার ও আমার পিতা-মাতার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসে। এ সময় আসামি সুকৌশলে আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়।

স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমি যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি। বিষয়টি পারিবারিকভাবে আলোচনা করে মিমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে থানায় এজাহার করি।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version