রাজগঞ্জ সংবাদদাতা
মনিরামপুর উপজেলা রাজগঞ্জ অঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে পাট চাষিরা এখন পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন তারা। বাজারে ভাল দাম আর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই এলাকায় দিন দিন বাড়ছে পাটের চাষাবাদ। এদিকে পাট ধোয়া ও শুকানোর কাজ পুরুদমে শুরু হয়েছে। রাজগঞ্জ, নেংগুড়াহাট অঞ্চলে সর্বত্র সোনালী আাঁশের সোনালী রঙে ভরে গেছে কৃষকের ঘর। মৌসুমের শুরুতে পাট বিক্রি করে ভালদাম পাচ্ছেন, নেংগুড়াহাটের কৃষকেরা।
বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে, প্রতিমণ পাট ২ হাজার ৩০০টাকা থেকে ২হাজার ৫০০শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তাই ভালো ফলন ও আশানুরুপ দাম পেয়ে খুশি,বিগত বছর গুলোতে লোকশানে পড়া কৃষকদের মুখে। সন্তুষ্টির হাসি ফুটে উঠেছে এবার,তাই বর্তমানে,দেশে পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে। পাটও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়াতে সরকারি ভাবে উদ্যোগ নেয়া ফলে আবারো সুদিন ফিরেছে কৃষকদের ঘরে। কৃষি বিভাগের তদারকিতে মণিরামপুরসহ প্রত্যেকটি উপজেলা চলতি বছর।
বিশেষ প্রনোদনা দিয়ে কৃষকদের পাট চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে ভাল থাকায় পাটে বাম্পার ফলন হয়েছে ব্যাপক। চালুয়াহাটি ইউনিয়নের কৃষি উপ-সহকারী মারুফুল হক ও হাবিবুর রহমান বলেন, এবছরের নেংগুড়াহাট এলাকায়। বেড়েছে পাটের চাষ, ৫শত ২০ হেক্টর জমিতে পাটচাষ হয়েছে, কৃষি কর্মকর্তা বলেন,গতমৌসুমে ৪০০হেক্টর জমিতে। পাট আবাদ হয়েছিল, বর্তমানে তা বেড়ে মোট ৫২০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে,কৃষক সহিদ মোড়ল, জামাল খাঁ, কালাম সরদার, ছাত্তার মোড়ল, বলেন এবার পাটের বেশি দাম পেয়ে খুব খুশি।
কৃষাকরা বলেন,এবার এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি, ফলন পেয়েছি বিঘা প্রতি বারো মণ। প্রতি মন পাট বিক্রায় হয়, ২৩০০শত টাকায়,এর আগে কখনো এত দামে পাট বিক্রি করিনি।
বাজার থেকে মধ্যসত্বভোগির দৌরত্ব কমালে তারা আরো লাভবান হতেন। এছাড়া পাটের বহমুখি ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে,পাটের সুদিন ধরেরাখা সম্ভব বলে মনে করেন পাটচাষীরা