সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
‘ওজনে সুবিধা পেয়ে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর ছেড়ে ভোমরামুখি ফল আমদানিকারকরা’। শীর্ষক সংবাদটি কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা ভোমরা স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক এ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়েব্রিজের স্কেল স্লিপ টেম্পারিং করে একটি অসত্য প্রতেবেদন প্রকাশ করায় অত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রকৃত ঘটনা এই যে, চলতি মাসে বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোলে সিরিয়াল জটিলতা ও তীব্র যানজটের কারণে আমদানিকারকরা ভারতীয় ফল জাতীয় পণ্য ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। যার কারণে আমদানিকারকদের বেনাপোল বন্দরের তুলনায় ভোমরা বন্দরে প্রতি ট্রাকে এক থেকে দেড় লাখ টাকা সরকারি শুল্ক জমা দিতে হচ্ছে।
কারণ বেনাপোল বন্দরে প্রতিটি ভারতীয় ট্রাকে টি আর ওজন বাবদ তিন থেকে সাড়ে তিন টন বাদ দিয়ে নীট পণ্যের ওজন নির্ধারণ করা হয়। অপরদিকে, ভোমরা বন্দরে প্রতিটি ভারতীয় ফলের ট্রাকে টি আর ওজন বাবদ সর্বোচ্চ ২ টন বাদ দিয়ে নীট পণ্যের ওজন নির্ধারিত হয়। ফলে প্রতি ট্রাকে সর্বোচ্চ দেড় টনের শুল্ক ছাড় পাওয়ার কারণে প্রায় ৩ বছর ধরে আমদানিকারকরা বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে আসছে।
অর্থাৎ সমপরিমাণ ওজনের ফলের ট্রাকে বেনাপোল ও ভোমরা বন্দরের মধ্যে সরকারী রাজস্বের ব্যবধান থাকে প্রায় দেড় লাখ টাকা। কিন্তু একটি অসাধু চক্র গত ২০ মার্চ তারিখে ভোমরা বন্দরের স্কেল স্লিপ টেম্পারিং করে গণমাধ্যম কর্মীদের ভুল বুঝিয়ে শুল্ক ফাঁকির যে কল্পকাহিনী রচনা করেছে তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।
চলতি মাসে ভোমরা ও বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানিজাত ফলের রাজস্ব পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে প্রতি ট্রাকের রাজস্বের ব্যবধান এক থেকে দেড় লাখ টাকা।
ভোমরা বন্দরে স্কেল ও টি আর ওজনের কোন প্রকার কারচুপির সুযোগ নেই।