বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলায় রূপদিয়ায় বিএনপি সমর্থিতদের ১৪টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধরের ঘটনায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা জড়িত নয়। পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে ভাংচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র রাজনৈতিক রঙ লাগিয়ে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে একটি পক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল।
গত ১৩ এপ্রিল সকালে যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়ার মধ্যপাড়ায় ১৪টি বাড়ি-ঘরে সন্ত্রাসীরা নির্বিচারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল ৪০ থেকে ৫০ জন। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেন, পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত রোববার (১৩ এপ্রিল) রূপদিয়া মধ্যপাড়ায় ভাঙচুর ও লুটপাট ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এ ঘটনায় জামায়াতকে জড়িয়ে রাজনৈতিক রূপ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে অভিযুক্ত খবিবর রহমান খানকে জামায়াত নেতা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সংগঠনের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি নন। তবে ১৩ এপ্রিল সংঘটিত ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
তিনি জানান, হামলার খবর পেয়ে মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন যশোর জেলা জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ৬০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
ওই ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন ও রাজনৈতিক ফায়দা না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যশোর জেলা জামায়াতের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস, প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, শহর সেক্রেটারি ইমরান হুসাইন প্রমুখ।