বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে দীপ্তি শেখ (২৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে দীপ্তির স্বজনরা ভিড় জমালেও দেখা মেলেনি তার স্বামী ও দুই মেয়েকে। মৃতের চাচা দাবি করছেন তাদের মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে। যে কারণে সে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছে। এদিকে তার শ^াশুড়ি বলছেন নির্যাতনের মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। সোমবার বিকেলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গের সামনে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
জানা গেছে, ৯ বছর আগে দীপ্তি শেখের বিয়ে হয় ঝিকরগাছার বারবাকপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের সাথে। বিয়ের পর থেকেই পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত। ফারুক পেশায় রাজমিস্ত্রীর লেবারের কাজ করে। তাদের ছয় ও আড়াই বছর বয়সের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। দীপ্তির বাবার বাড়ি শার্শা উপজেলার ভায়না গ্রামে। বাবা মারা যাওয়ায় চাচারা তাকে দেখভাল করতেন।
দীপ্তির বড় চাচা নজরুল ইসলাম বলেন, তাদের ভাই মারা যাওয়ার পর থেকে ভাইঝিকে তারা মানুষ করেছেন। প্রায়ই জামাই ফারুক মেয়েকে মারপিট করত। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাদের জামাই গতকাল রাতে ঘরের জিনিসপত্র ভেঙ্গেছে। সেখান থেকে পা কেটেছে। মারপিট না করলে এমন ঘটনা হত না।
এদিকে নিহতের শ^াশুড়ি রাবেয়া খাতুন বলছেন, কোনো গন্ডগোল হয়েছে কি না তিনি জানেন না। তার সংসার আলাদা। ছেলে বউয়ের ঘর থেকে তার ঘর একটু দূরে। প্রতিদিনের মত এদিন সকালেও সংসারের সব কাজ করেছে তাদের ছেলের বউ। হঠাৎ করে টিউবওয়েল পাড়ে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তারপর যখন বমি করে তখন গ্যাস ট্যাবলেটের গন্ধ পায়। সাথে সাথে যশোর সদর হাসপাতালে আনা হলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সকালে ছেলের বউ মারা গেছে তার ছেলে কেন এখনও হাসপাতালে আসেনি জানতে চাইলে তিনি বলেন সড়ক দুর্ঘটনায় তার ছেলের পা কেটে গেছে আর ছেলের মেয়েরা স্কুলে তাই তারা আসেনি।
এ ব্যাপারে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে নিহতের চাচা জানিয়েছেন।