বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের শার্শার গোগা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রোববার আদালতে মামলা হয়েছে। উপজেলার অগ্রভুলট গ্রামের বাসিন্দা গোগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাজান আলী মামলাটি করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শার্শা থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হচ্ছেন, শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, গোগা পূর্ব গ্রামের রহমত আলী, কালিয়ানী গ্রামের জসিম উদ্দীন, গোগা পূর্ব গ্রামের রায়হান কবির রানা, আমলাই গ্রামের শামছুজ্জামান বুলু, শরিফুল ইসলাম, সেতাই গ্রামের কামরুল ইসলাম, হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের জোবাইদুর রহমান শান্টু, অমিত হাসান, আব্দুল ওহাব, অগ্রভুলট গ্রামের ইদ্রিস আলী, গোগা পূর্ব গ্রামের জুলফিকার আলী, গোগা গ্রামের মিজানুর রহমান, কালিয়ানী গ্রামের জুলফিকার আলী ভুট্টা, গোগা পূর্ব গ্রামের মিজানুর রহমান, আমলাই গ্রামের ইমানুর রহমান ও অগ্রভুলট গ্রামের শাহাজান আলী।
মামলায় শাহাজান আলী উল্লেখ করেছেন, স্থানীয় বল ফিল্ডের পাশে গোগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি অবস্থিত। উল্লিখিত আসামিরা কার্যালয়টি জবর দখলসহ ভাঙচুরের জন্য বেশ কিছুদিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ১৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দলীয় কর্মী মোহাম্মদ আলী, সহিদুল, নবীছ উদ্দীন, মনির হোসেন, আব্দুল মজিদ ও বাবুল মেম্বার কার্যালয়ে বসে সাংগঠনিক আলাপ আলোচনা করছিলেন। এ সময় আসামি আব্দুর রশিদের হুকুমে অন্য আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক কার্যালয়ে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৯০ হাজার টাকা।