বাংলার ভোর প্রতিবেদক
অর্থ, সম্পদ ও প্রভাব-প্রতিপত্তি দিয়ে অনেক কিছু কেনা গেলেও শিক্ষা কেনা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন যশোর জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।
বুধবার দুপুরে বিরামপুরের ঐতিহ্যবাহী শীলা রায় চৌধুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি’র বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, যে সন্তান জেনে যায় তার বাবা একজন শিক্ষককে কিনে নিতে পারেন, সেই সন্তান আর পড়াশোনা করে না। একজন শিক্ষার্থীকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকরা দ্বিতীয় বাবা-মায়ের ভূমিকা পালন করেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বাবা-মায়েরা শিক্ষিত না হলেও তারা বুঝতে পারেন তাদের সন্তান পড়াশোনা করে কি না। কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখছি পড়াশোনার বিষয়টি পিছিয়ে যাচ্ছে। এখনকার ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে না গিয়ে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের সবার খোঁজ রাখতে হবে।
জেলা প্রশাসক শিক্ষক, অভিভাবক এবং এলাকাবাসীকে এক হয়ে স্কুলের পরিবেশ ভালো করার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিগত দিনে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দ্বারা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হয়নি, বরং তার নিজের উন্নতি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের বাউন্ডারি হয়নি, কিন্তু তাদের বাড়ির বাউন্ডারি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা তৈরি হয়নি, কিন্তু তাদের বাড়ির নিরাপত্তা তৈরি হয়েছে। এখন থেকে আমাদের নতুন করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে অনেক মানুষ পরিবর্তনের জন্য জীবন দিয়েছে, পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য নয়। আমরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ গড়তে চাই।
অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ও বর্তমান ২১ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
শীলা রায় চৌধুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুক্তাদিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোর্তজা ছোট, যশোর শিক্ষাবোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. কামরুজ্জামান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হাদিউজ্জামান খান, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহাফুজুল হোসেন, দৈনিক বাংলার ভোর সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীন জ্যোতি ও বিদ্যালয়ের স্থায়ী দাতা সদস্য অনুপ রায় চৌধুরী।