বাংলার ভোর প্রতিবেদক
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খুনি শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যশোরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারা বলেছেন, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রমাণ হয়েছ। তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মধ্যদিয়ে জুলাই গণহত্যায় শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে। অবলিম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।

এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর শাখার সাবেক আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খুনি শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশে আইনশৃংখলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা গুলি করে মানুষকে হত্যা করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের রাযে শেখ হাসিনার গণহত্যার প্রমাণ হয়েছে। আদালত তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। প্রত্যাশিত রায় হয়েছে। এই রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক। শেখ হাসিনা যেহেতু পলাতক রয়েছে, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। এই সরকার হাসিনাকে ফেরাতে কতটা উদ্যোগ নিতে পারবে সেটা নিয়ে শংকা রয়েছে।

জানতে চাইলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সাবেক মুখ্য সংগঠক আল মামুন লিখন বলেন, খুনি হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে রায়ে খুশি হয়েছি। তার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের মধ্যদিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একটাই দাবি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকর করা হোক।

সোমবার দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জুলাই বিপ্লবের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত ডামি নির্বাচনের প্রধানমন্ত্রী খুনি শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এ ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version