শ্যামনগর সংবাদদাতা
সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে প্রতারণার অভিযোগে স্বঘোষিত ভূমিহীন নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটক ব্যক্তি হলেন, শ্যামনগর পৌরসভার নকিপুর গ্রামের মোকছেদ আলী গাজী (৫৫)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মোকছেদ আলী নিজেকে ভূমিহীন নেতা ও উপজেলা কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য পরিচয় দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষকে খাস জমি পাইয়ে দেয়ার নাম করে টাকা তোলেন। কিন্তু জমি ও টাকা না পেয়ে শ্যামনগর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী উপজেলা গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের আনোয়ারা খাতুম (৪৩)। মামলা নং -৪। এতে আসামি করা হয় মোকছেদ ও পাতাড়াখোলা গ্রামের জাহানারা খাতুনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে।
মোকছেদ শ্যামনগর সদরে ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন রাস্তার পূর্ব পাশে ‘ভূমিহীন উন্নয়ন সংস্থা’ অফিস খুলে ২০২০ সাল হতে জাহানারাসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন থ পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্যামনগর থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে যেয়ে, নিরীহ মহিলাদের সরকারি খাস জমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তসহ দলিল করে দিবে বলে জন প্রতি ৬০ হাজার টাকা করে দাবি করে। প্রথমে ১০ হাজার টাকা দিলে তাদের নামে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত এর প্রপোজাল হবে। পরবর্তীতে বাকি টাকা প্রাপ্তির পর স্ব-স্ব নামে ১০ কাঠা থেকে দেড় বিঘা জমির দলিল করে দেবে এবং সরকারী ঘর পাইয়ে দিবে।
তাদের প্রলোভনে প্রতারিত হয়ে গত ০৩/০৩/২০২০ তারিখ হতে ইং-০৭/০৭/২০২০ তারিখের মধ্যে ভূমিহীন উন্নয়ন সংস্থার অফিসে আনোয়ারা ২৬ হাজার, ছফুরা ২১ হাজার, নাছিরুন ৩৫ হাজার, জেসমিন ৩৭ হাজার, রাবেয়া ২১ হাজার, ফিরোজা ২১ হাজার, পূর্নিমা ২১ হাজার, প্রভাষ ২১ হাজার, শাফিরুন ২১ হাজার, ইসমাইল ২১ হাজার, জাহানারা ১১ হাজার, জয়নাব ২১ হাজার, হালিমা ২১ হাজার, ফতেমা ১১ হাজার, আম্বিয়া ১১ হাজার , হালিমা ১১ হাজার , সুফিয়া ১২ হাজার, শাজিদা ১১ হাজার, জবেদা ২১ হাজার, মিনা ১১ হাজার, আছমা ২১ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৪ লক্ষ ৭ হাজার টাকা।
সর্ব শেষ গত ২ জুন বিকেরে মোকছেদের বাড়িতে যেয়ে জাহানারা খাতুনকে পেয়ে উল্লেখিত সকলে তাদের টাকা ফেরত চাইলে তারা পূর্বের ন্যায় তালবাহনা করে তাড়িয়ে দেয় এবং বলে যে, এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করলে প্রয়োজনে তোদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজত খাটাবো। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।