বাংলার ভোর প্রতিবেদক

পারিবারিক বিরোধের জেরে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ঝিকরগাছার মোবারকপুর পূর্ব মাঠপাড়ার বাসিন্দা ফজলুল হক।

রোববার প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিন সন্তানের জনক তিনি। বড় মেয়ে ফারহানা ফেরদৌস বৃষ্টি, ছেলে একতাদুল হক রিয়াদ ও সাবেক স্ত্রী গুলশান আরা ইতি একাট্টা হয়ে তার বেশ কিছু সম্পত্তি দখল করেছে। পারিবারিক বিরোধ চরমে উঠলে ২০১২ সালে স্ত্রী গুলশান আরা ইতিকে তালাক দেন তিনি।

তবে, প্রাণনাশের আশঙ্কায় পুনরায় স্ত্রীকে সংসারে ফিরিয়ে আনেন তিনি। বড় মেয়ে, ছেলে ও স্ত্রী সব জমিজমা লিখে দিতে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকলে তিনি অস্বীকার করেন। বনিবনা না হওয়ায় ২০২০ সালে স্ত্রীকে ফের তালাক দেন। এরপর সাবেক স্ত্রী ও দু’সন্তান তাকে পাগল প্রমাণের মধ্য দিয়ে জমিজমা ও সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে বলে জানান তিনি।

ফজলুল হক আরও বলেন, স্ত্রী ও দু’ ছেলে মেয়ে তাকে অপহরণ করে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে পাবনায় মানসিক হাসপাতালে পাঠালে সেখানকার চিকিৎসক তাকে সুস্থ বলে শনাক্ত করেন।

বর্তমানে ফজলুল হক ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের আশ্রয়ে রয়েছেন। এখানে তিনি ও তার ছোট মেয়েকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বিষয়টি ঝিকরগাছা থানা পুলিশকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।

জীবনের নিরাপত্তার জন্য ফজলুল হক প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য চেয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফজলুল হকের আত্মীয় ইমরান হোসেন সাজু।

Share.
Exit mobile version