বাংলার ভোর প্রতিবেদক
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গণি বলেছেন, জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে সকলের সহযোগিতা ছাড়া প্রকৃতপক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো সম্ভব নয়। আমাদের প্রত্যেককে তার নিজস্ব জায়গা থেকে বিবেককে কাজে লাগাতে হবে। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমরা সকলেই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমাদের অহংকার করার কিছু নেই।
আমাদের কাজ হচ্ছে জনগণের সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা। দিন শেষে আমাদের সকলের পরিচয় আমরা মানুষের সেবক, আমরা সকলেই বাংলাদেশী। আমাদের কাজ হচ্ছে জনগণকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করা।
বৃহস্পতিবার রাতে যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত সকল বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জেলার সকল সরকারি দপ্তরের প্রধানগণের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ৮৮ ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার মিজানুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মাহাবুবুর রহমান মিলন, সেনাবাহিনীর যশোর কমান্ডের কোম্পানি কমান্ডার, ৪৯ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার, র্যাব-৬ যশোর সিপিসি-৩ কমান্ডার, যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন সরকার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার, সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, এই দেশ আমাদের। আমাদের পরিচয় আমরা সকলেই বাংলাদেশী। এখানে শ্রেণী বিভাগ করার কোন সুযোগ নেই। বিগত ১৭ বছরে এই দেশটাকে নরকে পরিণত করা হয়েছিলো। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে হাজার হাজার নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন একটি বাংলাদেশ পেয়েছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার যে পর্যায়ে দেশকে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল সেই পর্যায়ে দেশের একটা ভয়াবহ পরিনতি ঘটতে পারতো। কিন্তু না আমাদের দেশপ্রেমিক ছাত্রজনতা আমাদেরকে দেশ গড়ার দায়িত্ব দিয়ে তারা নিশ্চিন্তে ঘরে ফিরে গেছে। কারণ তারা এই দেশটাকে ভালোবাসে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই দেশকে নতুন করে গড়ে তোলা। পৃথিবীর বহু দেশে বিপ্লবোত্তর পরিস্থিতিতে যে রকম ঘটনা ঘটে সে রকম কোন বড় ধরনের ঘটনা আমাদের দেশে ঘটেনি। তাই বলে যে আর ঘটবে না সে কথা ভেবে নাকে তেল দিয়ে ঘুমানো ঠিক হবে না। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনো আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘাপটি মেরে রয়েছে। আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। কোনভাবেই যেন পতিত স্বৈরাচার আর ফিরে আসতে না পারে।
##