বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খানের কক্ষে সহযোগীদের নিয়ে মাদক সেবনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এক মিনিট ৩ সেকেণ্ডের ওই মাদক সেবনের ভিডিওটি যশোর শহরের পালবাড়িস্থ রাশেদের ভাড়া বাসাতে ধারণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাষ্ট্র সংস্কারে অংশ নেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়কের কক্ষের এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা গেছে, একটি চেয়ারে খালি গায়ে রাশেদ বসে মুঠোফোন চালাচ্ছেন। তার সহযোগী মারুফ হাসান সুকর্ণ দাঁড়িয়ে অন্যদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। অন্যদিকে কয়েকজনকে কক্ষের বিছানায় বিদেশি মদের বোতল নাড়াচাড়া করতে দেখা গেছে। এছাড়া আবার মেঝেতে কয়েকজন মদ খাওয়ার গ্লাস ও ইয়াবা সেবন করার প্রণালি প্রস্তুত করছেন।
এ বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, হঠাৎ করেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে টেম্পারিং ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে। আমাদের সরালে যাদের লাভ, তারাই হয়ত এসব ভিডিও ছড়াচ্ছে।’
এদিকে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কোটা আন্দোলন ঘিরে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনীতিক সংগঠনগুলোর ছাত্র প্রতিনিধিরা সমন্বিত আন্দোলন শুরু করে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় গেলে যশোরের সমন্বয়ক পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। যশোরের প্রধান সমন্বয়ক দাবি করা রাশেদ খানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আরেক পক্ষ। রাশেদ বিরোধী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন না করা। রাশেদের চারপাশে ধান্দাবাজদের আশ্রয় প্রশ্রয় ও তাদের কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য নিয়েও অভিযোগ তোলেন তারা।
একই সঙ্গে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে অনেকেই ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চাঁদা তোলার অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনও করতে দেখা যায় রাশেদ বিরোধীদের। সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পূর্ণ উপলক্ষে ‘শহীদি মার্চ’ পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা।
এক অংশের নেতৃত্ব দেন যশোর সরকারি এম এম কলেজের শিক্ষার্থী জেসিনা মুর্শীদ প্রাপ্তি, মাসুম বিল¬াহ, নূর ইসলাম। অন্যপক্ষের নেতৃত্ব দেন সমন্বয়ক রাশেদ খান।