সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজয় ঠেকাতে প্রতিপক্ষ প্রার্থী চার চার বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ সরদারের দুই সহোদর ভাই একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ছোট ও দৈনিক যুগের বার্তা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবিসহ তার নির্বাচনী ২৫ জন কর্মী-সমর্থকের নাম উল্লেখ করে ককটেল বিস্ফোরনের মামলা দায়ের করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউল ইসলামের ভাই এসএম রফিকুল ইসলাম। তিনি গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার ৪২। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন আলিপুর ইউনিয়নে নিশ্চিত পরাজয় ভেবে নির্বাচন বানচাল করতে ও সড়যন্ত্র, মিথ্যা মামলা এবং হামলা করে রায় পক্ষে আনতে আলিপুরের বারবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ সরদারসহ তার কর্মী-সমর্থক,আত্মীয় স্বজন ও ভাইদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। যাতে তারা আগামি ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মাঠে থেকে নির্বাচন করতে না পারে। আর সেই সুযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা জিয়াউল ইসলাম জিয়া তার লোকবল দিয়ে কেন্দ্র দখল করে ব্যালট কেটে জয় ছিনিয়ে নিতেই পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে নিজেদের নির্বাচনী বহরে চকলেট বাজি ফুটিয়ে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে ককটেল বিস্ফোরনের নাটক সাজিয়ে মামলা দায়ের করেছে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী জিয়াউল ইসলাম জিয়া আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে ২২ এপ্রিল সোমবার রাতে গণসংযোগ করে চেকপোস্ট এলাকায় আসার সময় তিনটি চকলেট বাজি ফুটিয়ে ককটেল হামলা নাটক সাজায়। এ ঘটনায় পরের দিন ২৩ এপ্রিল জিয়াউল ইসলাম জিয়ার ভাই রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোড়া প্রতিকের আব্দুর রউফ সরদারের দুই সহদর সহ তার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ সরদার জানান, নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় ভেবে জয়ের জন্য নীল নকশার অংশ হিসেবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জেয়াউল ইসলাম জিয়া ও তার ভাই মিলে নিজেরা ৩টি চকলেট বাজি ফাটিয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ করে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করছে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউল ইসলাম জিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সাতক্ষীরা থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, এ ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।