সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়ির সকলকে অচেতন করে সবর্স্ব লুটকারীদের গ্রেফতার পূর্বক খোয়া যাওয়া স্বর্ণের গহনাসহ মালামাল উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন আশাশুনির গোদাড়া গ্রামের নূরুল ইসলাম সরদারের কন্যা ফাহিমা ফারহানা স্মৃতি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চাকরির সুবাদে আমরা ঢাকাতে অবস্থান করি। ফলে বাড়িতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পিতা এবং স্বাস্থ্যকর্মী মা বাড়িতে অবস্থান করেন। প্রতিদিনের ন্যায় রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘুমাতে যান। পরের দিন সকালে বাড়ির কাজের মেয়ে এসে দেখেন আমার পিতা এবং মাতা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। ঘরের মালামাল অগোছালো। এ সময় ওই মেয়ে আমাদের খবর দিলে আমরা বাড়ি ফিরে দেখি ঘরে থাকার নগদ ৩০ হাজার টাকা, ৮ ভরি স্বর্ণের গহনা, যার আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ টাকা, ২২ ভরি রূপার অলংকার লুটপাট করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত চোরেরা। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনদিন অচেতন থাকার পর আমার পিতা এবং মাতার জ্ঞান ফেরে। তবে এখনো পর্যন্ত সুস্থ হতে পারেনি।
আমরা ধারনা করছি- অজ্ঞাত চোরেরা পিতা এবং মাতার চোখে মুখে কীটনাশক স্প্রে করে। ফলে সাথে সাথেই তারা অচেতন হয়ে পড়ে। ওই কীটনাশকের মাত্রা এতটাই বেশি যে এর প্রতিক্রিয়ায় আমার পিতা এবং মাতার মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। একেবারে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছেন। ওই অজ্ঞাত চোরেদের বিরুদ্ধে এখনই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে চুরি আতংকে রাত কাটাবে আশাশুনির মানুষ। এ বিষয়ে আমরা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি।
তিনি আরো বলেন, হঠাৎ করে সাতক্ষীরার আশাশুনিসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হারে চুরি বেড়ে গেছে। আমাদের বাড়িতে ইতোপূর্বে কখনো চুরি সংঘটিত না হলেও এখন এসে একেবারে অচেতন করে চুরির ঘটনায় আমাদের গ্রামসহ আশাশুনির মানুষ উদ্বেগের সাথে রাত কাটাচ্ছেন। আমরা ওই চুরির সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত চিহ্নিত করণসহ দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছি।