সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ছাত্র শিবিরের সাতক্ষীরা শহর শাখার সেক্রেটারি আমিনুর রহমানসহ সাতজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ ইনামুল হকসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক নয়ন বড়ালের আদালতে জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৫৪) বাদী হয়ে ভাই হত্যার বিচার চেয়ে এ মামলা দাযের করেন। শহরের কামালনগরের একটি মেসে ৭ জনকে গুলি করার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরার তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইনামুল হক, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আনারুল ইসলাম রনি, যুবলীগ নেতা এসএম ইউসুফ সুলতান, ডিবি পুলিশের এসআই আলি হোসেন, কামালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মোকছেদ সরদারের ছেলে বাবর আলী, সদর থানার এস আই আবুল কাশেম হুমায়ূন কবীর, বিধান কুমার বিশ্বাস, ইয়াছিন আলী, লিটন বিশ্বাস, হান্নান শরীফ, আবুজার গিফারী, কং জাহাঙ্গীর আলম, বেলায়েত হোসেন, জিল্লুর রহমান,বাবুল হোসেন, ফারুখ হোসেন, শেখ আলম, আব্দুল হান্নান, হাবিবুর রহমান, রাসেল মাহমুদ, ওমর ফারুক, আব্দুর রহমান, আবিদুর রহমান, আসাদুজ্জামান, বদরুল আলমসহ তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা।
মামলার বাদী পক্ষের আইন জীবী এড. আবুল কালাম বাবলা বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল শহরের কামালনগরের একটি মেসে পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইনামুল হকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনার নামে তৎকালীন ছাত্র শিবিরের শহর সেক্রেটারি আমিনুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় মেসে থাকা আরো ৭ জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ কাছ থেকে বন্দুক থেকিয়ে গুলি করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতর কারণে পুলিশ তখন মামলাটি আমলে নেয়নি। এখন আমরা দোষীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।