বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরেণ্য এই রাজনীতিকের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বাদ আছর পারিবারিক আয়োজনে শহরের ঐতিহ্যবাহী দড়াটানা জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মুনাজাত পূর্ব যশোরের শীর্ষ আলেমগণ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম জনপদের উন্নয়নের কারিগর খ্যাত তরিকুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় যশোরের বরেণ্য আলেমগণ বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার নাম বলার আগে যশোর উন্নয়নের কারিগর শব্দটা যুক্ত করা হয়। আক্ষরিক অর্থে তিনি যশোর উন্নয়নের কারিগর। তার চলে যাবার শূণ্যতা আমরা আলেম সমাজও অনুভব করেছি। তার হাতে গড়া যশোর মেডিকেল কলেজে এখনো ৫০০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন হয়নি। যশোরের নাগরিক সমাজ যখন খুলনা থেকে ঢাকাগামী ট্রেন যশোর জংশনে বিরতির জন্য আন্দোলন করেছিল। সে সময়ের কোন জনপ্রতিনিধির এমন জনবান্ধব কর্মসূচির বিষয় তৎপরতা লক্ষ্য করিনি। তখন আমরা তরিকুল ইসলামের শূণ্যতা অনুভব করি। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে যশোরবাসীর এই দাবিটি অবশ্যই পূরণ করতেন।
বক্তারা আরও বলেন, তরিকুল ইসলাম আলেম-ওলামাদের অত্যন্ত আস্থা ও প্রিয়ভাজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি আলেম সমাজকে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। তেমনিভাবে আলেম সমাজও তাকে অত্যান্ত সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। তিনি সবসময় আলেম সমাজের খোঁজ খবর নিতেন। উনার কাছে যশোরের আলেমরা যে কোন প্রয়োজনে গেলে তিনি সর্বোচ্চ আন্তরিক ভাবে দেখতেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন, যশোর দারুল আরকাম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মান্নান, বকচর জামেয়া কুরআনিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নাজির উদ্দিন, দড়াটানা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হামিদুল ইসলাম, রেলস্টেশন মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি আব্দুর রহমান এজাজী প্রমুখ। স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, দড়াটানা জামে মসজিদের খতিব মুফতি আমানুল্লাহ কাসেমী। পরে বরেণ্য রাজনীতিকের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। এ সময় তার পিতামাতাসহ পরিবারের অন্যান্য স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন, দড়াটানা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা রুহুল আমিন।
