বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে গণশুনানিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উচ্চমান হিসাব সহকারী মহাসিন আলীর বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
রোববার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত গণশুনানিতে তিনি পাউবো যশোরের অফিস প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জিকে এই নির্দেশ দেন। গণশুনানির সময় নিয়োগ বাণিজ্য ও অসৎ উপায়ে জনবল নিয়োগের বিষয়ে অভিযোগ তোলেন চাকরিচ্যুত আউসসোর্সিং কর্মচারী রাজু আহমেদ ও দীপংকর দাস।
এ সময়, দুদক কর্মকর্তারা মহাসিন আলীকে বলেন, কোনো ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত কিনা ? জবাবে মহাসিন বলেন, আপনারা তদন্ত করে যদি কোনো প্রমাণ পান তাহলে যে শাস্তি দিবেন সে শাস্তি মাথা পেতে নেব।
দীর্ঘ ১৭ বছর একই জায়গায় কর্মরত থাকার কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে দুদক কর্মকর্তারা বলেন, ১৭ বছরে শেকড় অনেক গভীরে চলে গেছে। দেখলে মনে হচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্য আছে। তারা ৩ বছরের বেশি সময় থাকা কর্মকর্তা কর্মচারিদের বিষয়ে সরকারি চাকরির নিয়ম অনুসারে বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে যশোরের অফিস প্রধান পলাশ কুমারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন।
পলাশ কুমার ব্যানার্জি বলেন, তার বিরুদ্ধে ঢাকা অফিসে অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন হবে। তার নিজস্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আছে কিনা এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি তিনি।
পলাশ কুমার আরও বলেন, আমার অফিসে কর্মচারিদের তিনটা গ্রুপ। মাঝে মাঝে আমি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। আপনি যখন বলেছেন আমি এখান থেকে বের হয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দ্রুত একটা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, এই মহাসিন আলী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বহু অপকর্মের মূল হোতা। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা, একই স্থানে ১৭ বছর চাকরি করা, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ পতিত স্বৈরাচার আমলে শ্রমিক লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব বিস্তারের মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান ও সংশ্লিষ্ট অফিসকে জানানো হয়ে আসছে। সর্বশেষ দুদকে লিখিত অভিযোগ জানান ভুক্তভোগিরা। এখন দেখার বিষয় বহুল আলোচিত মহাসিন আলীর বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কি ব্যবস্থা নেন।

