বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক আইনে মামলায় জিয়াউর রহমান জিকু (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি শহরের লোন অফিসপাড়া বড় মাছ বাজার এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে।
জিকুর স্ত্রী বকচর মসজিদ পাড়ার ফাতেমা তুজ জোহরার দায়েরকরা এজাহারে আরো আসামিরা হলেন, তার শাশুড়ি ফজিয়ার রহমান (৫৮) এবং ননদ দৃষ্টি (৩৫)। এজাহারে ফাতেমা তুজ জোহরা উল্লেখ করেছেন, ৯ বছর আগে ৮ লাখ টাকা দেন মোহরানায় জিকুর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন জিকু নেশাগ্রস্ত। বিয়ের পর তার গর্ভের দুইটি সন্তান জোর করে আসামিরা নষ্ট করে দেয়। তার ওপর চলে নানা ভাবে নির্যাতন। বিভিন্ন অযুহাতে তার পিতা মাতার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা যৌতুক গ্রহন করে। তার গর্ভে তৃতীয় সন্তান আসলে তাকেও নষ্টের পরিকল্পনা করে। তিনি তার পিতার বাড়িতে চলে যান। সেখান তার একটি মেয়ে হয়। পরে তাকে পিতার বাড়িতে রাখার পরিকল্পনা করে। পরিবারের লোকজন বাসাভাড়া করে দেয়। ওই বাসার আসবাবপত্র কেনা বাবাদ আরো সাড়ে ৯ লাখ টাকা দেয়া হয়। ২ বছর পর জিকু ঢাকায় আবস্থান করাকালে ব্যবসার জন্য আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্ত গহনা ও জিনিসপত্র বিক্রি করে তাকে ৬ লাখ টাকা দেয়া হয়। গত ১২ নভেম্বর তাকে মারপিট করে ফের পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তাকে নানা ভাবে হত্যার চেষ্টাও করা হয়।
তার সাথে সংসার করতে হলে ফের ২০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানিয়ে দেয়। তার পিতার মৃত্যুর পর বকচর এলাকার জমি বিক্রি করে টাকা দিতে বলে। এত তিনি রাজি না হওয়ায় তার পিতার বাড়িতে গিয়ে মারপিটে জখম করে। পরে চলে গেলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ এই মামলায় জিকুকে আটক করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।