বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর হোমিওপ্যাথিক কলেজে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অধ্যক্ষকে মারধর এবং জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার রাতে পুলিশ দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে পরদিন তাদেরকে আদালতে পাঠিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো শহরের আরএন রোড (উমেশ চন্দ্র লেন) এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান হবি এবং শহরের বকচর এলাকার আব্দুল্লাহ আল বাকী। তবে এখনো উদ্ধার হয়নি কলেজ থেকে লুটপাট হওয়া সিসি ক্যামেরা, ফুটেজ ও কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মালামাল।
কলেজ অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান বলেন, কলেজ সভাপতি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলা করা হয়েছে। তিনি জানান, হামলা-ভাংচুর, লুটপাট ও মারধর ঘটনার নেপথ্যে এক সাংবাদিকও রয়েছেন। যিনি দীর্ঘদিন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলেন। সাংবাদিক হওয়ার কারণে তিনি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। এখন তিনি কমিটি থাকতে পারবে না জেনে দুর্বৃত্তদের সাথে হাত মিলিয়ে এসব অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন।
এদিকে, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম করার কারণে হতভম্ব হয়ে পড়েছে আরএন রোড এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, হাবিবুর রহমান হবি জীবনে কোন দিন বিএনপি করেনি। তার কোন পদ পদবী নেই। আওয়ামী লীগের দোসর হবি এখন বিএনপি সাজতে চাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, হাবিবুর রহমান হবি বিএনপি করে না। সে কেশবপুরের সাদেক সাহেবের আত্মীয়। বিএনপির সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। হোমিওপ্যাথিক কলেজে যে ঘটনা ঘটেছে বিএনপি তার নিন্দা জানায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই তারেক নাহিয়ান বলেন, মামলার এক ও তিন নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে। মালামাল উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।