বাগআঁচড়া প্রতিবেদক
স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই সড়কটিতে। গ্রামবাসী জানান, মাটির এ সড়কটির সংস্কার বা উন্নয়নে বছরের পর বছর আশার বাণী শুনে আসছেন তারা। এতে প্রতিদিন চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, রোগীসহ কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করণে চরম দুর্ভোগ পড়েছে।
যশোর জেলার শার্শা উপজেলার ৭নং কায়বা ইউনিয়নে মহিষা গ্রামে সড়কটির অবস্থান। এই গ্রামের তিন হাজারের বেশি মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিতে স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছরেও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি।
সড়কটি বর্ষায় ব্যবহারের পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে পড়ায় প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ সময় মটরভ্যান, সিএনজি, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে হেঁটেই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীকে।
মহিষা গ্রামের রফিক হোসেন জানান, গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্ভর করেন। কাছাকাছি পাইকারি বাজার না থাকায় বাগআঁচড়া বাজারে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করেন। কৃষক লিটন আলী জানান, সড়কটিতে যান চলাচলের অসুবিধার কারণে আমাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিতে শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করতে হয়। এজন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে কৃষকদের। বর্ষার পুরো সময়ই সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী থাকায় রোগী, বয়স্ক মানুষ, কিংবা অসুস্থ গর্ভবতী মহিলাদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কখনো কখনো জরুরি প্রয়োজনে ভ্যান ও অটোরিকশায় নিয়ে রোগী বহনে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হয়।
মহিষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রওশন আলী অসুস্থ রোগী, কোমলমতি শিক্ষার্থীরাদের রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় দ্রুত সরকারের কাছে পাকাকরণের দাবি জানান।
মহিষা গ্রামের আবু বকর জানান, এ সড়কেই রয়েছে মহিষা প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহিষা পীর আব্দুস ছোবহান আলিম মাদ্রাসা, চালতাবাড়িয়া আর ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাগআঁচড়া আফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, কায়বা ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৬টি প্রাইভেট হাসপাতাল, বাগআঁচড়া সোনালী ব্যাংক, রুপালি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আকতারুজ্জামান জানান, রাস্তাটির আগে পিন কোড ছিলো না, এখন সেটি হয়েছে। সাবেক এবং বতর্মান চেয়ারম্যানরা অনেক বার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু রাস্তাটি এখনো সংস্কার হয়নি। তিনি আরো জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি যত দ্রুত সম্ভব মহিষা মাঠপাড়া থেকে রামভদ্রপুর পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার করে জনদুর্ভোগ লাঘব করা হোক।