বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে যৌতুকের অভিযোগ মামলা করেছে এক গৃহবধু। সোমবার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন, যশোরের কেশবপুর থানার বরণঢালী গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া খেজুরবাগান খলিলুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল মজিদ বিশ্বাসের মেয়ে সেলিনা খাতুন।
মামলায় আসামি করা হয়, শাশুর কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার চরবাড়িয়া কল্যাণঘাটি গ্রামের নিজাম উদ্দীন (৬০), শাশুড়ি মাছুমা বেগম (৫০) ও ননদ কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার পাশাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী পারভীন খাতুন।
মামলায় গৃহবধূ উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালে নিজাম উদ্দীনের ছেলে কওছার আলমের সাথে তার শরিয়ত মোতাবেক ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। বিয়ের পর গৃহবধূ তার স্বামীর সাথে স্বামীর বাড়িতে ঘর সংসার করতে থাকে। সংসার করাকালীন সময় উল্লেখিত আসামীরা গৃহবধূর কাছে প্রায় সময় যৌতুক দাবি করে।
যৌতুকের দাবীতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। গৃহবধূর স্বামী কওছার আলম কর্মের উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন যাবত সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছে। এমতাবস্থায় শাশুর, শাশুড়ি ও ননদের সাথে বনিবনা না হওয়ায় স্বামীর পরামর্শে গৃববধূ বর্তমান ঠিকানায় বসবাস শুরু করে। উক্ত আসামিরা প্রায় সময় গৃহবধূর ভাড়া বাড়িতে বেড়াতে আসতো।
গত এক সপ্তাহ পূর্বে গৃহবধূ তার স্বামীর অনুরোধে গৃহবধূর আপন বড় ভাই আলমগীর হোসেন গৃহবধূর শ^শুরকে মোবাইল ফোনে গৃহবধূকে তাদের বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে তারা রাজি হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টায় আসামিরা গৃহবধূর ভাড়া বাড়িতে উপস্থিত হন। তারা রাতে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়ার পূর্বে গৃহবধূর কাছে পূর্বের ন্যায় দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে। তারা বলে টাকা নিয়ে কুমিল্লায় ব্যবসা করবে।
গৃহবধূ টাকা দিতে অস্বীকার করায় নিজাম উদ্দীন রেগে গৃহবধূকে বলে টাকা না দিলে কুমিল্লায় ফিরিয়ে নিবে না। প্রয়োজনে তার ছেলেকে দিয়ে তালাক দেয়ার হুমকি দেয়।
গৃহবধূর বড় ভাই আসামিদের জানিয়ে দেয় যৌতুকের টাকা দিতে পারবেনা। এই বলার সাথে সাথে আসামিরা আলমগীর হোসেনকে মারপিট ও গৃহবধূকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে আহত করে। গৃহবধূকে অসুস্থ অবস্থায় যশোর ২৫০ জেনারেল হাসপাাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।