প্রতিবেদক
যশোর টিবি ক্লিনিক পাড়ায় চাঞ্চল্যকর সোলাইমান হত্যা মামলার আরো এক আসামি জনি (২৫) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১ টার দিকে যশোর চিফ জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করে। এর আগে, ৩০ জানুয়ারি আদালতে চাঁচড়ার আরাফাত আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। এ নিয়ে দুইজন আসামি আত্মসমর্পণ করলেন। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার আসামিদের আত্মসমর্পণের ঘটনাকে নিহতের স্বজনরা বলছেন সবই পুলিশের নাটক। আটক এড়িয়ে রয়েছে তিনজনসহ বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত আসামি। যদিও মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা যশোর কোতয়ালি থানার এসআই আব্দুল মালেকের দাবি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আত্মসমর্পণ নাটক অভিযোগের বিষয়টি তিনি হেসে উড়িয়ে দেন।
আত্মসর্মপণকারী আরাফাত ফারাজী চাঁচড়ার বাসিন্দা হলেও সারা শহরে রয়েছে তার নেটওয়ার্ক। ছোট-খাটো ঘটনায় ছুরিকাঘাত করে জখম ও খুন করাসহ নানা অপরাধে তার রয়েছে সম্পৃক্ততা।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ১০ দিন পরেও বুকফাটা কান্না আর আহাজারী থামছে না সোলাইমানের পরিবারে। বৃদ্ধ বাবা-মা, বোন, স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের চোখের জলে ভাসছে গোটা পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ এজাহারভুক্ত আসামিরা চিহিৃত মাদককারবারী, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এসব সন্ত্রাসীদের পরিবারের সদস্যরাও বেপরোয়া। অনেকেই মাদক কারবারের সাথে জড়িত। কথিত বড় ভাইদের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে এরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আসামি আরাফাত ফারাজী আদালতে আত্মসমর্পণের পর নিহতের পরিবার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানায় এসবই পুলিশের নাটক। পুলিশ চাইলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু করছে না-এ অভিযোগ নিহতের স্ত্রী আসমা খাতুনের। তিনি বলেন, আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আসামিদের রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি মামলার ভবিষ্যৎ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন।
শিরোনাম:
- যশোর জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান
- যশোরে বেড়েছে খুন-ধর্ষণ, আইনশৃংখলা উদ্বেগজনক
- যশোরে দ্বন্দ্ব সংবেদনশীলতা ও রূপান্তর বিষয়ক কর্মশালা শুরু
- জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ নড়াইলকে দুই গোল যশোরের
- এবার যশোরে ৭০৫টি শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি
- সুন্দরবনের সাগরে নিখোঁজ মাহিদের মরদেহ উদ্ধার
- শ্যামনগর ইউএনও’র বদলি আদেশ প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন
- মানসিক সুস্থতা এবং আসক্তি প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম